আইসিসি ঘোষিত এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের মধ্যে যারা রয়েছেন
একজন আইসিসি এলিট প্যানেলে থাকা আম্পায়ার বছরে অন্তত দশটি টেস্ট এবং ১০ থেকে ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করে বার্ষিক আয় হিসাবে পান প্রায় ৩৫-৪৫হাজার মার্কিন ডলার।
-
টেস্ট ম্যাচের ক্ষেত্রে এলিট প্যানেলে থাকা আম্পায়ার ম্যাচ পিছু পান প্রায় তিন হাজার মার্কিন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দুই লাখ টাকা।
-
এক একটি ওয়ান ডে ম্যাচে আম্পায়াররা পকেটে পোরেন ২২ হাজার মার্কিন ডলার যা ভারতীয় টাকায় প্রায় দেড় লাখ। এছাড়াও প্রতি টিটোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারদের আয় এক হাজার মার্কিন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
-
বিশ্বের সবথেকে দামি ক্রিকেট লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএলে প্রতি ম্যাচ থেকে একজন আইসিসি এলিট প্যানেলে থাকা আম্পায়ার পেয়ে থাকেন ২৫০০ মার্কিন ডলার। এখানেই শেষ নয়, ম্যাচ ফি ছাড়াও বেশ মোটা অঙ্কের টাকা পান তারা।
-
শুধু কি তাই! এই বিপুল অর্থের সঙ্গে থাকে আইসিসির তরফে বিমানে বিজনেস ক্লাসে সারা বিশ্বে বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ। থাকেন সেরা সব হোটেলে। আর এই সমস্ত খরচই বহন করে আইসিসি।
-
শুধু টেস্ট বা ওয়ানডে নয়, বিশ্বজুড়ে যে হারে নানা টি-টোয়েন্টি লিগ বেড়ে চলেছে, সে দিক দিয়ে আম্পায়ারদেরও ম্যাচ ফি-ও বাড়ছে তরতর করে।
-
একজন ক্রিকেটারের থেকে যদিও আম্পায়ারদের ম্যাচ ফি এখনও অনেকটাই কম। একজন ক্রিকেটার যেখানে ওয়ানডে ম্যাচ ফি বাবদ পান ছয় লাখ টাকা, অন্যদিকে একজন আম্পায়ার পেয়ে থাকেন দেড় লাখ টাকার কাছাকাছি। বিশ্বকাপসহ নানা আইসিসি পরিচালিত টুর্নামেন্টে বাড়তি টাকা পেয়ে থাকেন আম্পায়াররা।
-
আইসিসি এলিট প্যানেল লিস্টে রয়েছেন দেশ বিদেশের ১২জন আম্পায়ার। বিশ্বকাপে বিতর্কিত আম্পায়ারিং করে দুর্নাম কুড়িয়েছেন কুমার ধর্মসেনা এবং আলিম দার। দু'জনেই কিন্তু আইসিসি এলিট প্যানেলে রয়েছেন।
-
তবে এই তালিকায় নেই কোনো ভারতীয় আম্পায়ার। ম্যাচ রেফারির তালিকায় জাভাগাল শ্রীনাথের নাম টিমটিম করলেও আম্পায়ারের তালিকায় নেই কোনো ভারতীয়।
-
বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের কদর বাড়ছে আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ক্রিকেট ফরম্যাটের বৈভব। সেই চোখ ধাঁধানো অর্থের প্রাচুর্য থেকে ক্রিকেটার হোক বা আম্পায়ার বাদ যাচ্ছেন না কেউই। আইসিসি স্বীকৃত বিশ্বের প্রতিটি টুর্নামেন্টে মোটা অঙ্কের টাকা পান আম্পায়াররা।
-
আম্পায়ার হওয়ার আবেদন করতে পারেন আপনিও। এক্ষেত্রে আইসিসির কিছু পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।