বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থ যে মহাতারকারা
তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল ক্রিকেট বিশ্ব। এসব দেশের সমর্থকদের আশা ছিল তারাই হয়তো এনে দেবেন বিশ্বকাপ। কিন্তু গ্রুপ পর্বই পার করতে পারলেন না তারা। ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট বলের কাছে। দেখে নিন এই ব্যর্থ ক্রিকেট মহাতারকাদের।
-
কাগিসো রাবাডা: সারা জাগানো পেস বোলার। এবারের বিশ্বকাপে অনেকেরই আশা ছিল তাকে নিয়ে। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকাও পারেনি নকআউট পর্বে যেতে।
-
এবারের বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ১১ উইকেট। মোট ৭৮ ওভার বল করে ৩৯৭ রান দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি রান দিয়েছেন তিনিই। দলের সেরা বোলার সব চেয়ে বেশি রান দিলে দলের যে করুণ অবস্থা হবে তা বলাই বাহুল্য।
-
হাশিম আমলা: এই আফ্রিকান ওপেনার এক সময় ছিলেন দলের সেরা এবং সবচেয়ে ভরসার ব্যাটসম্যান। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে সেই ভরসা যোগাতে একেবারেই ব্যর্থ তিনি। বার বার ওপেনারদের খারাপ ফর্ম ভুগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
-
এবারের বিশ্বকাপে ৭ ইনিংসে আমলার সংগ্রহ মাত্র ২০৩ রান, স্ট্রাইক রেট ৬৪.৮৬। আমলা ধিরে শুরু করলেও পরে রান তুলে নিতে পারেন। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে সেই কাজটাই করতে পারেননি তিনি।
-
ক্রিস গেইল: বলাই যায় এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। চার বছর পর তার পক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। মনে করা হচ্ছিল, এবারের বিশ্বকাপটা নিজের নামে করতে চাইবেন ইউনিভার্স বস। টিম হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এবারে কেউ বিশ্বকাপের দাবিদার মনে না করলেও আশা ছিল গেলকে নিয়ে।
-
সেই গেল চরম হতাশ করলেন। ৮ ইনিংসে তার সংগ্রহ ২৪২ রান, গড় ৩০.২৫। সব চেয়ে আশ্চর্যের তার স্ট্রাইক রেট ৮৮.৩২। যা একেবারেই গেল সুলভ নয়। এখন বোধহয় শুধুই তার অবসরের অপেক্ষা। শেষ হতে চলেছে এক ক্যারিবিয়ান যুগের।
-
আন্দ্রে রাসেল: আরেক ক্যারিবিয়ান দৈত্য। যার অতিমানবিক ক্রিকেট দক্ষতা আইপিএল-এ দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করবেন। কিন্তু চোট তাকে পুরো টুর্নামেন্ট খেলতেই দেয়নি। মাঝপথেই ফিরতে হয়েছে তাকে। তবে যত দিন ছিলেন আশাহত করেছেন বার বার।
-
ব্যাট হাতে তিন ইনিংসে ৩৬ রান। আর বল হাতে চার ম্যাচে পাঁচটি উইকেট। চোট পেয়ে ফেরার আগে এই তার দলের হয়ে অবদান। টি-২০ আর একদিনের ক্রিকেটের মধ্যে যে বিশাল তফাত তার প্রমাণ বোধহয় এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম।
-
ফখর জামান: ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে তার কাছেই হেরে গিয়েছিল ভারত। এবারের বিশ্বকাপেও তাকে নিয়ে অনেক আশা ছিল পাক বাহিনীর। কিন্তু সেই আশার রূপ দিতে ব্যর্থ তিনি। ওপেনে নেমে সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি।
-
মাত্র ১৮৬ রান করেছেন ৮ ইনিংস খেলে। গড় ২৩.২৫। একটি মাত্র অর্ধশতরান। তা ছাড়া কোনো ইনিংসই সেইভাবে উল্লেখযোগ্য নয়।