বিশ্বকাপের মাঠে বাংলাদেশের চমকে দেয় জয়গুলোর কথা জেনে নিন

১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে জয়ের খাতা খুলেছিলেন আমিনুল ইসলামরা। তবে চমক তখনও বাকি ছিল। নর্থহ্যাম্পটনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে ২২৩ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। তবে ৪৪.৩ ওভারে মাত্র ১৬১ রানেই গুটিয়ে যান ওয়াসিম আক্রমরা। ৩ উইকেট ও ২৭ রান করে ম্যাচের সেরা হন খালেদ মামুদ।

২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ফের চমক বাংলাদেশের। এবার তারা হারালেন ভারতকে। ত্রিনিদাদে রাহুল দ্রাবিড়েরা আগে ব্যাট করে তুলেছিলেন ১৯১ রান। জবাবে ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট খুইয়ে সেই রান পার করে যান মুশফিকুর রহিমের সেনারা। ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন মাশরফি। ৯.৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মাশরফি।

২০০৭ সালে ভারতকে হারানোর পরও বাংলাদেশের স্বপ্নের দৌড় থামেনি। সুপার ৮-এ উঠে গ্রেম স্মিথের দক্ষিণ আফ্রিকাকে বধ করেন মুশফিকুর রহিমরা। ২৫১ রানের টার্গেট পেয়ে ৪৮.৪ ওভারে ১৮৪ রানেই অলআউট হন প্রোটিয়ারা। ৮৩ বলে ৮৭ রান করে ম্যাচের সেরা হন মহম্মদ আশরাফুল।

বিশ্বকাপের আঙিনায় এবার বাংলাদেশের কাছে হারের পালা ছিল ইংল্যান্ডের। সালটা ছিল ২০১১। চট্টগ্রামে প্রথমে ব্যাট করে ২২৫ রান তোলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রসরা। এরপর ৪৯ ওভারেই ওই রান তুলে নেন সাকিব আল হাসানরা। ২ উইকেটে জিতে দেশের মাটিতে আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেন তারা। ১০০ বলে ৬০ রান করে ম্যাচের সেরা হন ইমরুল কায়েস।

পরের বিশ্বকাপেও ফের ইংল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ। অ্যাডিলেডে আগে ব্যাট করে ২৭৫ রান করেন মাশরাফি বাহিনী। ইংল্যান্ড ৪৮.৩ ওভারে ২৬০ রানেই ইনিংস শেষ হয়ে যায় ইয়ন মর্গ্যানদের। সে ম্যাচে ১৩৮ বলে ঝকঝকে ১০৩ রান করে সেরার সম্মান পান মাহমুদ্দুলাহ রিয়াদ।

চলতি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন মাশরাফি। ওভালে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৩০ রানে করে বাংলাদেশ। জবাবে ৮ উইকেটে ৩০৯ রান করে ইনিংস শেষ করে ফ্যাফ ডুপ্লেসি বাহিনী। ৮৪ বলে ৭৫ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন শাকিব আল হাসান।

প্রোটিয়াদের পর সোমবার টনটনে ক্যারিবিয়ানদের অনায়াসে হারায় বাংলাদেশ। ৩২১ রান করলেও সেই লক্ষ্য অতি সহজেই পূরণ করেন সাকিব আল হাসানরা। ৪১.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট খরচ করেন তারা। চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শতরান (১২৪ রান) আসে শাকিবের ব্যাট থেকে। সঙ্গে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরাও হন সাকিব।