বিশ্বকাপে পাকিস্তান হেরে যাওয়ার নেপথ্য কারণগুলো জেনে নিন

টস ফ্যাক্টর: টসে হেরে সুবিধাই হল। বিরাট কোহলিও টসে জিতলে হয়তো বল করত। সে ক্ষেত্রে হিসাবটা অন্য রকম হতেই পারত।

ওপেনিং: রাহুল-রোহিত জুটি অসাধারণ শুরু করেছিলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ করলেন তারা দু’জন।

রাহুল: ৭৮ বলে ৫৭ রান। শিখর ধাওয়ানের অভাব বুঝতেই দেননি। মহম্মদ আমিরের বলকেও দুর্দান্ত সামলেছেন।

রোহিত: ম্যাচ-এর সেরা। অনায়াসে ২০০ করতে পারবেন যখন মনে হচ্ছিল, ঠিক তখনই আউট হন। তার ব্যাটে ১৪০ রান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতে বিশাল স্কোর করতে সাহায্য করেছে।

বিরাট: ম্যাচে বিরাটের রান ৬৫ বলে ৭৭। এই রান করতে বিরাট যে ফর্মে ছিলেন, তাতে হয়তো সেঞ্চুরিও হতে পারত। কিন্তু আমিরের বাউন্সারে ব্যাট লেগেছে ভেবে আম্পায়ার আউট না দিলেও মাঠ ছেড়ে দেন বিরাট। ব্যাটিং-এর পাশাপাশি বোলিং পরিবর্তনও দারুণ করলেন বিরাট।

পাক বোলিং: মহম্মহ আমির ছাড়া কোনো পাক বোলারই ভালো করতে পারেননি। চ্যাম্পিয়ন লিগ-এর সেরা বোলার হাসান আলি এদিন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি মার খাওয়া পাক বোলার হওয়ার রেকর্ড করলেন।

বিজয়: ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে না পারলেও বিশ্বকাপে নিজের প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার রেকর্ড করে ফেললেন। হাতে চোট পেয়ে ভুবনেশ্বর মাঠ ছাড়লেও তার অভাব বুঝতেই দিলেন না তিনি।

কুলদীপ: সম্ভবত এই বিশ্বকাপের সেরা বোলারই আউট করলেন বাবর আজমকে। দুর্দান্ত লাইন লেন্থ-এ বল করে চাপ বাড়িয়ে পাক ব্যাটিংকে মাথাই তুলতে দেননি তিনি।

পাক ব্যাটিং: বড় স্কোর তাড়া করার জন্য প্রয়োজন ছিল ভাল ওপেনিং-এর। প্রথমেই। যেখানে পিছিয়ে পড়ে পাকিস্তান। বাবর-ফখর চেষ্টা করলেও রান রেট বাড়াতে পারেননি।

হার্দিক: ব্যাট হাতে ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠার আগেই আউট হলেও পরপর দুই উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন হার্দিকই। অলরাউন্ডার হিসাবে ক্রমশ পরিণত হয়ে উঠছেন তিনি।

ফিল্ডিং: এই জায়গায় ভারত কয়েক যোজন এগিয়ে ছিল পাকিস্তানের চেয়ে। রোহিতের আউট মিস করা থেকে প্রচুর মিসফিল্ড, সবই দেখা গেল পাকিস্তান বল করার সময়। উল্টোদিকে ভারত ফিল্ডিংয়েই প্রচুর রান বাঁচিয়ে পাক ব্যাটসম্যানদের চাপ বাড়িয়ে তুলছিল।