বিশ্বকাপে স্থান না পাওয়া এই ক্রিকেটারদের দল যে কোনো দলকেই হারাতে পারে
তারা বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে সুযোগ পাননি। কিন্তু, নিজেদের দিনে যে কোনো ক্রিকেটারকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা আছে তাদের। সুযোগ না পাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে দল তৈরি হলে তারা কাঁপিয়ে দিত যে কোনো দলকে। কারা কারা ঠাঁই পেতে পারেন সেখানে। দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে।
-
ঋষভ পান্থ: ভারতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানটির দিকে এই মুহূর্তে অনেকের নজর রয়েছে। ঋষভের ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্নই নেই। তাকে বাদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই।
-
অম্বাতী রায়ুডু: বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে রায়ুডুর সুযোগ পাওয়া এক সময় প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে সুযোগ পাননি। মিডল অর্ডারে রায়ুডুর ব্যাটিং নিঃসন্দেহে বড় ভরসা যে কোনো দলের।
-
সুনীল নারাইন: দেশের হয়ে ৬৫টি একদিনের ম্যাচ খেলা নারাইন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলে সুযোগ পাননি। কিন্তু, নারাইনের মতো অলরাউন্ডার এই মুহূর্তে খুব কমই আছেন। ইনিংস শুরু করতে পারেন, আবার নারাইনের বোলিং নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই।
-
পিটার হ্যান্ডসকম্ব: অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানটি এখনও পর্যন্ত ২১টি ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাটিং হাতটাও বেশ ভালো। মিডল অর্ডারে দ্রুত রান তুলতে পারেন।
-
আসিফ আলি: পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানটি ১১টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও নির্বাচকদের বিশেষ নজর আছে তার দিকে। অনেকের মতে, ঠিক মতো সুযোগ পেলে দলকে ভরসা দিতে পারেন।
-
টিম সেইফার্ট: নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানটিকে মূলত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে নেওয়া যেতে পারে। দেশের হয়ে মাত্র তিনটি একদিনের ম্যাচ খেললেও, বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স রয়েছে তারা।
-
ইমরুল কায়েস: বাংলাদেশের হয় ৭৮টি একদিনের ম্যাচ খেলা ব্যাটসম্যানটির গড় তিরিশের বেশি। প্রয়োজনে উইকেটরক্ষকের ভূমিকাও পালন করতে পারেন।
-
শাপুর জাদ্রান: আফগানিস্তানের বাঁহাতি সিমারটির দখলে রয়েছে ৪৩টি উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও রয়েছে ভাল সাফল্য। তাকে দলে না রাখায় অবাক হয়েছিলেন অনেকেই।
-
মহম্মদ আমির: পাকিস্তানের বাঁহাতি বোলারটি খেলে ফেলেছেন পঞ্চাশটি একদিনের ম্যাচ। তাকে এক সময় পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পেসার বলা হত। শুধু বল নয়, ব্যাট হাতেও প্রয়োজনে রান করার ক্ষমতা আছে।
-
দীনেশ চান্দিমল: শ্রীলঙ্কার অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ১৪৬টি একদিনের ম্যাচ খেলা চান্দিমলের ব্যাটিং গড় ৩২-এর বেশি। যদিও এ বার বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলে সুযোগ পাননি ডানহাতি ব্যাটসম্যানটি।
-
কিয়েরন পোলার্ড: ১০১টি একদিনের ম্যাচ খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডারটি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাননি। কিন্তু, বল-ব্যাট উভয় দিক থেকে পোলার্ডের মতো ক্রিকেটার দলের সম্পদ।
-
ক্রিস মরিস: দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার। ৩৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের হাতটাও মন্দ নয়।
-
জোফ্রা আর্চার: এখনও পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। বলা ভালো কোনো দেশের হয়ে খেলার সুযোগই পাননি। এক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ড— দু’টি দলের দরজাই খোলা ছিল তার সামনে। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনও দলেই সুযোগ পাননি। মূলত বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবেই পরিচিত আর্চার।