বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রীতিমতো চমকে দেয়া দল ঘোষণা

জেসন হোল্ডার: অধিনায়ক হোল্ডার খেলেছেন ৯০টি একদিনের ম্যাচ। ব্যাটিং গড় ২৬-এর সামান্য কিছু বেশি। দখল করেছেন ১১৯টি উইকেট। বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনিই।

ফাবিয়েন অ্যালেন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবাগত অ্যালেন খেলেছেন মাত্র চারটি একদিনের ম্যাচ। লোয়ার মিডলে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনটাও ভালোই করেন।

ডারেন ব্রাভো: বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানটি এখনও পর্যন্ত ১০২টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। গড় তিরিশের বেশি। রয়েছে তিনটি শতরান।

কার্লোস ব্রাথওয়েট: বছর তিরিশের এই অলরাউন্ডারটি এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ৩৩টি একদিনের ম্যাচ। ৩১টি উইকেট দখল করেছেন, ব্যাটিং গড় ১৫-এর সামান্য কিছু কম।

শেলডন কটরেল: দশটি একদিনের ম্যাচ খেলা বাঁহাতি সিমারটি নো-বলের জন্য এক সময় কুখ্যাত হয়েছিলেন। গত বছর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে কটরেলের দিশাহীন বল সরাসরি দ্বিতীয় স্লিপ দিয়ে বেরিয়ে যায় বাইরে। আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গেই নো-বল ডাকেন। রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সেই ডেলিভারি।

শ্যানন গ্যাব্রিয়েল: ইংল্যান্ডের অধিনায়ক রুটকে ‘সমকামী’ বলে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। এখনও পর্যন্ত ১৮টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। দখলে রয়েছে ২৩টি উইকেট।

ক্রিস গেইল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম ভয়ঙ্কর ক্রিকেটার। ২৮৯টি একদিনের ম্যাচে দশ হাজারের বেশি রান করা গেল একাই যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারেন।

শিমরন হেটমায়ার: তরুণ বাঁহাতি ক্রিকেটারটিকে নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখনও পর্যন্ত ২৫টি একদিনের ম্যাচ খেলা হেটমায়ারের গড় চল্লিশের বেশি।

শাই হোপ: উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানটি অল্প সময়ের মধ্যেই দলের ভরসা দিচ্ছেন। ৪৯টি ম্যাচ খেলা হোপের গড় ৪৫-এর বেশি। রয়েছে চারটি শতরান।

এভিন লুইস: বাঁহাতি এই ওপেনারটি দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নজর কেড়েছেন। ৩৫টি একদিনের ম্যাচ খেলা লিউইসের স্ট্রাইক রেট ৮০-এর উপর।

অ্যাশলে নার্স: ৩০ বছরের বোলারটি খেলেছেন ৪৫টি একদিনের ম্যাচ। দখল করেছেন ৪২টি উইকেট।

নিকোলাস পুরান: খুব সম্ভবত দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে পুরানকে। তরুণ ক্রিকেটারটি মাত্র একটি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে।

কেমার রোচ: এই মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা বেলার বলা চলে। ৮০টি ম্যাচ খেলা রোচের দখলে ১১০টির বেশি উইকেট রয়েছে।

আন্দ্রে রাসেল: আন্দ্রে রাসেল সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন, তা চলতি আইপিএলে বার বার প্রমাণিত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশের হয়ে ৫২টি একদিনের ম্যাচ খেলা রাসেলের ব্যাটিং গড় তিরিশের কাছাকাছি। উইকেট রয়েছে ৬৫টি।

ওশেন থমাস: নয়টি একদিনের ম্যাচ খেলা পেস বোলারটির ইতিমধ্যেই দখল করেছেন ১৫টি উইকেট।