যেসব ক্রিকেটার আসন্ন বিশ্বকাপে কোন দলের হয়ে রং বদলে দিতে পারেন
বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসর উপলক্ষে প্রতিটি দলই নিজেদের মতো করে তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি দলেই এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যারা যে কোনো সময় ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারেন। প্রতিটি দল থেকে এমনই একজন করে দেখে নেওয়া যাক যারা তুরুপের তাস হতেই পারেন।
-
শিমরন হেটমায়ার : সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে হেটমায়ারের ভূমিকার প্রশংসা শোনা গিয়েছিল বিশেষজ্ঞদের মুখে। যে কোনো মুহূর্তে দ্রুত রান তুলে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
-
মুস্তাফিজুর রহমান : ৪০টি একদিনের ম্যাচ খেলা বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসারের খাতায় ইতিমধ্যেই ৭৩ উইকেট। ইংল্যান্ডের পিচে কার্যকর হতে পারে মুস্তাফিজুরের ভূমিকা।
-
থিসারা পেরেরা : প্রায় ১৫০টি একদিনের ম্যাচ খেলা পেরেরা শ্রীলঙ্কার অন্যতম ভরসার ক্রিকেটার। অলরাউন্ডার পেরেরা ব্যাট-বল উভয় দিক থেকে দলের পক্ষে কার্যকর হয়ে উঠতে পারেন।
-
কাগিসো রাবাডা : দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ পেস বোলারটি ইতিমধ্যেই ৯৮টি উইকেট দখল করে ফেলেছেন। ৬২টি ম্যাচ খেলা রাবাডা ইংল্যান্ডের পরিবেশে আদর্শ বোলার হয়ে উঠতে পারেন।
-
বেন স্টোকস : বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ৭৫টি একদিনের ম্যাচ খেলা স্টোকসের খাতায় তিনটি শতরানের পাশাপাশি পঞ্চাশের বেশি উইকেটও রয়েছে।
-
ফখর জামান : পঞ্চাশের উপর গড় থাকা পাকিস্তানের বাঁ-হাতি ওপেনার দলের বড় ভরসা। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩২টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। শতরান রয়েছে তিনটি।
-
হার্দিক পাণ্ডে : শাস্তি থেকে ফিরেই চলতি নিউজিল্যান্ড সফরে নিজের কার্যকারিতা প্রমাণিত করেছেন তিনি। ৪৪টি একদিনের ম্যাচ খেলা হার্দিক দ্রুত রান যেমন তুলতে পারেন, তেমনই ইংল্যান্ডের পিচে হার্দিকের পেস ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
-
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল : ৯০টি একদিনের ম্যাচ খেলা ম্যাক্সওয়েল অজিদের বড় ভরসা। মিডল অর্ডারে প্রয়োজনে যেমন দ্রুত রান তুলতে পারেন, তেমনই বড় ইনিংস খেলারও ক্ষমতা আছে।
-
ট্রেন্ট বোল্ট : বল সুইং করলে তিনি কতটা বিপজ্জনক হতে পারেন, তার উদাহরণ মিলেছে ভারতের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের চলতি সফরের চতুর্থ একদিনের ম্যাচে। ইংল্যান্ডের পিচে বল ভালই সুইং করে। ফলে বিধ্বংসী হয়ে উঠতেই পারেন বোল্ট।
-
রশিদ খান : আফগানিস্তানের এই লেগস্পিনার ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম বিস্ময়। বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও বড় ভূমিকা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তার।