আইপিএলের ইতিহাসে চমকে দেবে কোটিপতি যে ফ্লপ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স

জাক কালিস : ২০১৪ সালে নাইট রাইডার্স তাকে দলে নেয় সাড়ে পাঁচ কোটিতে। কিন্তু, সেবার ৮ ইনিংসে ২৫ গড়ে ১৫১ রান করেন। ওভারপিছু প্রায় সাড়ে আট রান দিয়ে পেয়েছিলেন মাত্র ৪ উইকেট। ভয়ঙ্কর পারফরম্যান্সের জেরে দল থেকেই বাদ পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার।

কেভিন পিটারসন : সাত কোটির বিনিময়ে আইপিএলের দ্বিতীয় আসরে তাকে দলে নিয়েছিল বেঙ্গালুরু। সেই সময়ে ফর্মের শিখরে থাকা এই ইংরেজ ব্যাটসম্যান কিন্তু লিগে ব্যাট হাতে হতাশ করেন। ছয়টি ম্যাচ খেললেও করেছিলেন মাত্র ৯৩ রান। তবে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে কিছুটা মানরক্ষা করেছিলেন।

অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ : ২০০৯ সালের আইপিএলের জন্য ফ্লিনটফকে সাত কোটিতে দলে নিয়েছিল চেন্নাই। সেই মৌসুমে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ছিলেন তিনিই। কিন্তু, চোট আঘাতের কারণে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেন তিনি। করেছিলেন ৬২ রান। পেয়েছিলেন ২টি উইকেট।

সৌরভ তিওয়ারি : ২০১০ সালে অসাধারণ খেলার পর সাত কোটিতে বেঙ্গালুরু দলে নিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু, ২০১১ সালে ১৬টি ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৮৭ রান।

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ : শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন অধিনায়ককে ২০১৫ সালে সাড়ে ৭ কোটির বিনিময়ে দলে নিয়েছিল দিল্লি। কিন্তু, ১১টি ম্যাচ খেললেও তিনি করেছিলেন ১৪৪ রান। অলরাউন্ডার হিসাবে দলে এলেও পেয়েছিলেন মাত্র ৭টি উইকেট।

ইরফান পঠান : ২০১১ তে দিল্লি সাড়ে আট কোটিতে কিনেছিল পঠানকে। কিন্তু, ১৪টি ম্যাচ খেললেও ব্যাটে-বলে তেমন কিছু করতে পারেননি। ব্যাট হাতে করেছিলেন মাত্র ১৫০ রান। বল হাত ১১টি উইকেট পান।

পবন নেগি : দিল্লি ২০১৬ সালের জন্য দল গঠনের সময় সাড়ে ৮ কোটিতে কিনেছিল এই বাঁ-হাতি স্পিনার অলরাউন্ডারকে। বল-ব্যাট উভয় দিক থেকে দলকে হতাশ করেছিলেন। গোটা মৌসুমে পেয়েছিলেন মাত্র একটি উইকেট।

দীনেশ কার্তিক : ২০১৫ সালেরর আইপিএলের জন্য বেঙ্গালুরু সাড়ে দশ কোটিতে দলে নিয়েছিল কার্তিককে। কিন্তু, সেবার ১৬টি ম্যাচ খেললেও করেছিলেন মাত্র ১৪১ রান। গড় ১২.৮১।

টাইমাল মিলস : ২০১৭ সালে ১২ কোটিতে বেঙ্গালুরু নিয়েছিল এই পেসারকে। কিন্তু, দলকে রীতিমতো হতাশ করেছিলেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে পেয়েছিলেন মাত্র ৫ উইকেট।

যুবরাজ সিং : ২০১৫ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ১৬ কোটি টাকায় দলে নিয়েছিল যুবরাজ সিংহকে। কিন্তু, সেবার তিনি ১৪টি ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ২৪৮ রান। গড় ১৯.০৭।