যেসব কারণে পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করেছে ভারত
দীর্ঘ ১৫ মাস পর মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। এতদিন পর হলেও লড়াইটা সমানে সমান জমে ওঠেনি। ভারতের কাছে একেবারেই ধরাশায়ী হল পাকিস্তান। দেখে নেওয়া যাকে এশিয়া কাপে ভারতের জয়ের মূল কারণগুলো কী ছিল।
-
পাওয়ার প্লে একেবারেই কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম পাঁচ ওভারে পাকিস্তানের গড় ছিল ০.৮০।
-
প্রথম দশ ওভারের মধ্যে ভারতীয় বোলাররা দুই পাক ওপেনারের উইকেট তুলে নেওয়ায় রান তোলার পথটা প্রথমেই বন্ধ হয়ে যায়।
-
প্রথমে ভুবনেশ্বর কুমার ও মিডল ওভারে কেদার যাদবের বোলিং তছনছ করে দেয় পাক দুর্গ।
-
ভুবনেশ্বর কুমারের বিরুদ্ধে চোখ কান বুজে এগিয়ে মারতে গিয়ে ধোনিকে ক্যাচ দিলেন ইনজামাম উল হকের ভাইপো ইমাম উল হক। ইনিংস মজবুত করতে তার দিকে তাকিয়ে ছিল পাকিস্তান। ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ভুবি।
-
মাঠে নেমেই ফের ভেলকি দেখালেন যশপ্রীত বুমরা। ৭.১ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে নেন দুটো উইকেট।
-
রোহিত কথায় নয়, ব্যাট হাতে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন। ৩৯ বলে ৫২ রান যথেষ্ট কাজে এসেছে।
-
কেদার যাদব ডেলিভারির সময় যেখান থেকে হাতটা আনেন, সেটা দেখে বলটা বুঝতে গেলে ব্যাটসম্যানকে মোটামুটি স্কোয়ার লেগের কাছাকাছি একটা জায়গায় স্টান্স নিতে হবে। তার হাত যেভাবে ঘুরেছে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছেন পাক ব্যাটসম্যানরা। ৯ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই অনিয়মিত স্পিনার।
-
বিশেষজ্ঞদের মতে একটু বেশিই হালকা মেজাজে থাকার ফল ভুগতে হল পাক ক্রিকেটারদের।
-
বাবর আজম ও শোয়েব মালিক ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান দাঁড়াতেই পারেননি ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে। বাবরকে দিনের সেরা ডেলিভারিতে আউট করে পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ আশা ভেঙে দেন কুলদীপ।
-
এরপর দলকে টানার দায়িত্ব ছিল শোয়েব মালিকের হাতে। কিন্তু তাকে অসাধারণ থ্রোয়ে রান আউট করেন রায়ুডু।
-
রোহিত-ধাওয়নের অসাধারণ ওপেনিংয়ের পর অম্বাতি রায়ুডু ও দীনেশ কার্তিক জুটি দ্রæত রান করে ভারতকে সহজ জয়ের রাস্তা দেখান।