তামিমের মত মারাত্মক আঘাত দমাতে পারেনি যে ক্রিকেটারদের
তামিম ইকবালের দ্বিতীয় ওভারেই হাতে আঘাত লেগেছিল। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে সেই অবস্থাতেও পরে ব্যাট করতে নামেন তিনি। তবে তামিম একা নন, এমন নজির আগেও দেখা গিয়েছে। গুরুতর আহত হওয়ার পরও দেশের জন্য মাঠে নামেন তারা।
-
বার্ট সাটক্লিফ : দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জোবার্গে টেস্টে মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড। সালটা ১৯৫৩-৫৪। ব্যাট করতে নেমে কানে ভয়ঙ্কর চোট পান বার্ট সাটক্লিফ। চিকিৎসকরা সম্পূর্ণ বিশ্রামের কথা বলেছিলেন। যদিও সেই টেস্টেই পরে ব্যাট করতে নামেন তিনি। দুর্দান্ত ইনিংসও খেলেন।
-
রিক ম্যাককস্কার : অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এই ওপেনারটি ১৯৭৬-৭৭ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে গুরুতর আহত হন। চোয়াল ভেঙে যায়। এই অবস্থায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেন। খেলেন ৬৮টি বলও।
-
অনিল কুমলে : ২০০২ সাল। অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে থুতনিতে মারাত্মক চোট পান। কিন্তু, সবাইকে অবাক করে রীতিমতো যন্ত্রণা সহ্য করেও বল করেন তিনি। নেন লারার উইকেটও।
-
গ্যারি কার্স্টেন : ২০০৩-০৪ সাল। পাকিস্তানের শোয়েব আখতার তখন আগুন ছোটাচ্ছেন। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চোট পান কার্স্টেন। এক্স-রেতে দেখা যায় তার নাকের হাড় ভেঙেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের স্কোর এক সময় ১৪৯ রানে চার উইকেট। সবাইকে অবাক করে ব্যাট করতে নামেন কার্স্টেন। এই অবস্থায় ৪০-এর উপর রান করেন তিনি।
-
গ্রেম স্মিথ : বলতে হবে স্মিথের কথাও। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে কনুইতে চোট পান। কোনও ভাবেই আর ব্যাট করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। কিন্তু, দলের অবস্থা তখন খুবই খারাপ। ব্যাট হাতে নামতে দেখা যায় স্মিথকে। বেশ কয়েকটি বল সামলে দেন।
-
মাইকেল ক্লার্ক : ফের একবার বলতে হবে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ম্যাচের কথা। ২০১৪-১৫ সালে কেপ টাউনের টেস্ট। গুরুতর আহত হয়েছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। সেই অবস্থায় দেখা যায় তিনি ব্যাট করে চলেছেন। পরে জানা যায় তার কাঁধের হাড় ভেঙে গিয়েছিল।
-
তামিম ইকবাল : এই তালিকায় নতুন নাম তামিমের। ম্যাচের শুরুতেই আঘাত পান। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় কিন্তু, হাসপাতাল থেকে ফিরে ম্যাচের শেষে ব্যাট করতে নামেন তিনি।