আইপিএলে ধোনিদের যেভাবে মাতিয়ে দিল নাইটরা
বৃহস্পতিবার রাতে ইডেনের সেই লড়াইয়ে সহজেই চেন্নাইকে হারিয়ে দিল নাইট রাইডার্স। যেভাবে হারিয়ে দিল তা দেখে নিন।
-
টস : টিয়েন্টির সেই প্রাচীনকাল থেকেই টসে জেতা দল সুবিধা পেয়ে আসছে। ইডেনে টসে জেতায় প্রথমেই খানিকটা এগিয়ে যায় নাইট রাইডার্স।
-
ভালো বোলিং : ইডেনের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দুর্দান্ত বল করেছে নাইটদের বোলিং ব্রিগেড। এক মিচেল জনসন ছাড়া মাপা লাইন লেংথে বল করে ধোনিদের আটকে রেখেছিলেন নারাইন-মাভিরা।
-
স্পিন ম্যাজিক : নারাইন তো বটেই, পীযূষ চাওলা এবং কুলদীপ যাদবও ভাল বল করেছেন এ দিন। তিন স্পিনার মিলিয়ে ১২ ওভারে ৮৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন।
-
শুভমান ফাটকা : উথাপ্পা আউট হতেই চার নম্বরে পাঠানো হয় অনূর্ধ্ব ১৯ তারকা শুভমান গিলকে। টুর্নামেন্টে এই প্রথম চার নম্বরে নেমে চমকে দেন গিল। ৩৬ বলে তার অপরাজিত ৫৭ অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে যায়।
-
কার্তিক কলিং : ছয় নম্বরে নেমে ১৮ বলে অপরাজিত ৪৫। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ফিনিশার কার্তিক।
-
নারাইন : প্রথমে বল হাতে মাত্র ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট, তার পর ওপেন করতে নেমে ২০ বলে ৩২। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন ম্যাচের সেরা নারাইন।
-
ব্যর্থ মিডল অর্ডার : দুপ্লেসি-ওয়াটসনের ভাল ওপেনিংয়ের পর চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডারে সেই ঝাঁঝ ছিল না। এক ধোনি বাদে যথেষ্ট মন্থর ব্যাট করলেন রায়না-রায়ুডু-জাডেজারা।
-
মাভি ফ্যাক্টও : ৩ ওভারে মাত্র ২১ রান দেন তরুণ এই পেসার। গোটা স্পেলে একটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। দুই দলের পেসারদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সেরা।
-
ক্যাচ মিস : ফিল্ডিংও তেমন ভাল হয়নি চেন্নাইয়ের। এক শুভমান গিলের ক্যাচই দু’বার ফেলে দেন রবীন্দ্র জাদেজা। অপরাজিত ৫৭ করে ম্যাচ বের করে নেন গিল।
-
ধোনি সিদ্ধান্ত : চেন্নাইয়ের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল হরভজন সিংহ। ৩ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে এক উইকেট পান তিনি। অথচ তাকেই পুরো কোটার বল করালেন না ধোনি।