আইপিএলের ঐতিহাসিক কিছু সিদ্ধান্ত
আইপিএলের ঐতিহাসিক কিছু সিদ্ধান্ত যা ক্রিকেটের ব্যাকরণ বদলে দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কথা থাকছে এবারের অ্যালবামে।
-
২০১১ সালের আইপিএল ফাইনাল। চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরু। এ যেন দক্ষিণের ডার্বি। সে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেন মুরলি বিজয় এবং মাইক হাসি। তাদের দৌলতে ২০৫ রান করে চেন্নাই। জবাবে ব্যাট করতে নামেন মায়ঙ্ক আগরওয়াল এবং ক্রিস গেইল। সবার নজর ছিল ক্রিস গেইলের উপর।
-
কিন্তু গেইলের উইকেট তুলতে নয়া ট্রিক্স কাজে লাগায় চেন্নাই অধিনায় মিস্টার কুল। প্রথম ওভারই অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন আশ্বিনকে পাঠান ধোনি। আর তাতেই বাজিমাত। প্রথম ওভারই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ক্রিস গেইল।
-
২০১৬ সালের ইডেন গার্ডেন্সে একটি ম্যাচে কলকাতার অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের আগ্রাসী অধিনায়কত্ব দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। বৃষ্টির জেরে এদিন কম ওভারে খেলা হয়। সেসময় পুনের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৭৪। অধিনায়ক ধোনি নামেন ব্যাট করতে।
-
সেসময় ধোনিকে চাপে রাখতে গৌতম গম্ভীরের ক্লোজ ফিল্ডিং সেটআপ দেখে অবাক হয়েছিলেন দর্শকরা। এ যেন টেস্ট চলছে। ‘গুরু গম্ভীর’ ফিল্ডিং সেট আপে সেদিন চাপে পড়েছিলেন ধোনি। মারকুটে ধোনি ২২ বলে মাত্র ৮ রান করেছিলেন। ওই ম্যাচ হাতছাড়া হয় ধোনিদের।
-
২০১৭ সালেআইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে কেকেআর একটি ম্যাচ আজও স্মরণীয় রয়েছে ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে। বিরাটদের ঘরের মাঠে ১৫৮ রানের তাড়া করতে সুনীল নারিনকে ওপেন করতে পাঠায় কেকেআর। সঙ্গে ছিলেন ক্রিস লিন। এই দুই জুটিতে ধূলিসাৎ হয়ে যায় গেইল-বিরাটরা। এই ম্যাচে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দেন ‘স্পিনার’ সুনীল নারিন।
-
২০১১ সালে আইপিএলে ক্রিস গেইলের কাছে টার্নিং পয়েন্ট। কেকেআর থেকে গেইলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কোনো দল তাকে কিনতে না চাইলেও, ডির্ক ন্যান্সের চোটের কারণে গেইলকে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরু।
-
সুযোগ পেয়েই সুদে আসেল পুষিয়ে দেন গেইল। সে বছর ৫৫ বলে ১০২ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন। এছাড়া সেইবার ৬০৮ রান করে সর্বোচ্চ রানের অধিকারিও হন গেইল। আরসিবিকে ফাইনালে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা ছিল তারই।
-
২০১০ সালে আইপিএল ফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনির একটি ফিল্ডিং সেটআপের সিদ্ধান্তই সব হিসেব পাল্টে দেয়। অনায়সেই হাতে চলে আছে আইপিএলের কাপ। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের শেষ ৭ বলে দরকার ছিল ২৭ রান।
-
আইপিএলে ‘ট্র্যাজিক হিরো’ সৌরভ গাঙ্গুলি। যে দলের হয়ে তিনি অধিনায়কত্ব করেছেন, নিজের পারফরম্যান্স অসাধারণ হলেও, সেই দল সেভাবে সফলতা পায়নি। ২০১২ সালে দিল্লির সঙ্গে একটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব তো বটেই ব্যাটে এবং বলেও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন দাদা।
-
কেভিন পিটারসনকে আউট করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বার বার ফিরে আসা যায়। তা সৌরভ গাঙ্গুলির পক্ষেই সম্ভব। সৌরভের আগ্রাসী আক্রমণে দিল্লি এদিন হেলায় হেরেছিল।