সৌরভের ১০ সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছিল
সৌরভের যে ১০ সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছিল-এর ছবি নিয়ে এ অ্যালবাম সাজানো হয়েছে।
-
দলে উইকেটকিপার রাহুল দ্রাবিড়ের অন্তর্ভুক্তি : কেরিয়ারের শুরু থেকে তখনও পর্যন্ত মোটামুটি তিন নম্বরেই ব্যাট করতেন রাহুল। ক্যাপ্টেন সৌরভ তাকে উইকেটকিপিংয়ের বাড়তি দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে দলে ব্যাটিং গভীরতা অনেকটা বেড়ে যায়।
-
ওপেনার সেহবাগ : লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, যে কিছুটা অফ স্পিনও করতে পারে। তখনও পর্যন্ত এটাই ছিল বীরেন্দ্র সেহবাগের পরিচয়। সৌরভ বুঝতে পারেন, এমন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে লোয়ার মিডলে নামিয়ে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। তাকে দিয়ে ওপেন করানো শুরু করেন সৌরভ। ফল মেলে চমকপ্রদ।
-
অবসর ভেঙে শ্রীনাথের প্রত্যাবর্তন : ২০০৩ বিশ্বকাপের আগেই অবসর নিয়েছিলেন জাভাগাল শ্রীনাথ। সৌরভ বুঝেছিলেন, অনভিজ্ঞ ভারতীয় বোলিংকে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে পারবেন শ্রীনাথই। সৌরভের কথায় দলে ফেরেন শ্রীনাথ। বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্সও ছিল ভাল।
-
ইডেন টেস্টে তিন নম্বরে লক্ষণ : ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ছয় নম্বরে নেমেছিলেন ভিভিএস লক্ষণ। দ্বিতীয় ইনিংসে তাকেই তিন নম্বরে পাঠান সৌরভ। লক্ষণের ব্যাটেই ভারতীয় ক্রিকেটে ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয় পায় ভারত।
-
আগ্রাসী মনোভাবের আমদানি : সৌরভের আগে এই মনোভাবের বড়ই অভাব ছিল ভারতীয় দলে। ফ্লিনটফের শার্ট খোলার বদলা লর্ডসের ব্যালকনিতেই নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ভারতীয় দলে আগ্রাসী মনোভাবের সেই শুরু।
-
সামনে থেকে নেতৃত্ব : ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম ম্যাচে সিঁটিয়ে থাকা দলকে চাগিয়ে তোলে তার ১৪৪। পাল্টা মারের সেই ইনিংসই সিরিজে পরবর্তী সময়ে এগিয়ে রাখে ভারতকে।
-
ব্যাটিং অর্ডারে কাইফকে ওপরে তোলা : ২০০৩ বিশ্বকাপে আনোয়ারের শতরানের সুবাদে ২৭৩ রনের বড় স্কোর করে পাকিস্তান। জবাবে সচিনের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ম্যাচে ঝাঁকিয়ে বসা ভারত আচমকা পরপর উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায়। ম্যাচে দ্রাবিড়, যুবরাজদের আগে কাইফকে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরবর্তীকালে কাইফকে উপরে নামিয়ে একাধিক ম্যাচ জেতে ভারত।
-
মেঘলা হেডিংলেতে টসে জিতে ব্যাটিং : মেঘলা আবহাওয়ায় পেস সহায়ক উইকেটে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সৌরভ। হরভজন এবং কুম্বলেকে চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনের উইকেটের সুবিধা দেওয়ার জন্য এই সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। টেস্টে ইংল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৬ রানে হারিয়ে বিদেশের মাঠে অন্যতম সেরা জয় তোলে ভারত।
-
ইডেন টেস্টে সচিনকে দিয়ে বল করানো : ঐতিহাসিক ইডেন টেস্ট মনে থাকবে লক্ষণ-রাহুল জুটির অনবদ্য ব্যাটিং এবং হরভজনের বোলিংয়ের জন্য। কিন্তু পঞ্চম দিনে ম্যাচ প্রায় বাঁচিয়ে দেওয়া অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে সাহায্য করেছিল সচিনের লেগস্পিন। রাজুকে সরিয়ে সচিনকে সে দিন বল করানো ছিল দাদার মাস্টারস্ট্রোক।
-
স্টিভ ওয়কে অপেক্ষা করানো : সৌরভ কোনো দিন স্বিকার না করলেও উদ্ধত অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে টসের আগে অপেক্ষা করিয়ে সিরিজ শুরুর আগেই চিন মিউজিক শুনিয়েছিলেন তিনি। সেই স্ট্র্যাটেজিতে প্রথমেই ব্যাকফুটে চলে যায় অজিরা।