অভিষেকেই বাজিমাত
অভিষেক টেস্টে বল হাতে ৫ বা তার অধিক উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের ৭ জন বোলার। নাইমুর রহমান দুর্জয় থেকে শুরু করে মেহেদী হাসান মিরাজ, ৭ জনের ভিতরে কেবলমাত্র মঞ্জুরুল ইসলাম ছিলেন পেসার বাকিরা সবাই স্পিনার। আজ এই অভিষেকের রাজাদের নিয়ে এই গ্যালারি।
-
মেহেদী হাসান মিরাজ : জাতীয় দলের তকমা যে তার গায়ে এত তাড়াতাড়ি লেগে যাবে এটা কেউ ভাবতেই পারেনি। মাত্র ১৫ বছর বয়স হতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন অনুর্ধ ১৯ ক্রিকেট দলকে। এনেছেন একেরপর এক সাফল্য। আর এরই মধ্যে চট্রগ্রাম টেস্টে অভিষেক হয়ে গেল মিরাজের। ইংলিশরা বুঝে উঠতে পারেনি তাকে। এরই সুযোগে ইংলিশদের ধস নামিয়ে দিলেন মিরাজ ।
-
মঞ্জরুল ইসলাম : ১৯ এপ্রিল ২০০১। বুলাওয়ে টেস্ট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুখোমুখি টাইগাররা। প্রতিপক্ষ যতই বড় হোক না কেন সেটা মোকাবেলা করতে প্রয়োজন হয় সাহসের। আর সেই সাহস সঞ্চার করেই বল হাতে দৌড় শুরু করলেন মাঞ্জুরুল ইসলাম। এবং একে একে তুলে নিলেন ৬ টি উইকেট।
-
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ : সময়টা ২০০৯ এর ৯ই জুলাই। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের একটি স্মরণীয় সফর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর, বিদেশে প্রথম টেস্ট জয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অভিষেক হলো মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে। ১ম ইনিংসে ৩টি উইকেট। পরের ইনিংসে ১৫ ওভারে ৪টি মেডেন দিয়ে ৫১ রানে তুলে নিলেন আরো ৫ উইকেট।
-
ইলিয়াস সানি : সময়টা ২১ অক্টোবর ২০১১। চট্রগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্ট ম্যাচ। ২৩ ওভার বল করে ৯৪ রান দিয়ে ৬ টি উইকেট তুলে নেন ইলিয়াস সানি।
-
সোহাগ গাজী : ১৩ নভেম্বর ২০১২, ইলিয়াস সানির কৃতিত্বের ১ বছর পর। প্রতিপক্ষ আবার সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বল হাতে নেমেই কারিশমা দেখালেন সোহাগ গাজী। অভিষেকে তুলে নিলেন ৭৪ রানে ৬টি উইকেট।
-
তাইজুল ইসলাম : সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৪, কিংস্টন টেস্ট। ঘরোয়া ক্রিকেটে একেরপর এক সাফল্যের পরে সুযোগ পেয়ে গেলেন ক্যারিবীয়ান সাগরের তীর জ্যামাইকায়। টিম ম্যানেজমেন্ট এর আস্থার প্রতিদানও দিলেন ৫ টি উইকেট নিয়ে।
-
নাইমুর রহমান দুর্জয় : তারিখটা ১০ নভেম্বর ২০১০। টেস্টে বাংলাদেশ কেবলমাত্র সদ্য ভূমিষ্ট। বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেক ম্যাচ প্রতিপক্ষ ভারত। আর সেই অভিষেকেই বাজিমাত করলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। সেদিন দুর্জয়ের বোলিং ফিগার ছিল ৪৪.৩-৯-১৩২-৬!