শেষ রক্ষা হলো না টাইগারদের
প্রাণপণে চেষ্টা করেও সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে জিততে পারেনি টাইগাররা। সৌম্য সরকারের ১৬৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের ওপর ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর করলেও শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২২ বল হাতে রেখে টাইগারদের হারিয়েছে ৭ উইকেটে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
-
বুধবার নেলসনের সাক্সটন ওভালে বাংলাদেশের দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুদান্ত শুরু করে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও রাচিন রাবিন্দ্রা। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ রান করে তারা। পরে হাসান মাহমুদের বলে রিসাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান রাবিন্দ্রা। অন্যদিকে ৮৯ রানের মাথায় ইয়াংকে বোল্ড করে দেন ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
-
তিন নম্বরে নেমে আরও একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন হেনরি নিকোলস। ফিফটি হাঁকানোর পর সেঞ্চুরির একেবারে কাছাকাছি গিয়ে ফেরেন তিনি। ৯৫ রানের মাথায় শরিফুল ইসলামের শিকার হন এই কিউই ব্যাটার। ছবি: সংগৃহীত
-
এরপর অধিনায়ক টম ল্যাথাম ৩২ বলে ৩৪ আর টম ব্লান্ডেল ২০ বলে ২৪ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত
-
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। এনামুল হক বিজয় আর সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিটা ভাঙে পঞ্চম ওভারে দলীয় ১১ রানেই। অ্যাডাম মিলনের বেরিয়ে যাওয়া বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বিজয়। তবে উইল ও'রউরকের করা ইনিংসের অষ্টম ওভারে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান সৌম্য। ছবি: সংগৃহীত
-
কিন্তু পরের ওভারেই ফের ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এবার সৌম্যকে রেখে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।বরাবরের মতো দৃষ্টিকটু আউট শান্ত। ৯ বলে বাংলাদেশ দলপতি করেন ৬ রান। দলীয় ৩৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর লিটন কিউই পেসার ডাফির বলে দৃষ্টিনন্দন এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পরের বলেই কভার পয়েন্টে উইকেট বিলিয়ে আসেন। ১১ বলে করেন ৬ রান। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত
-
সৌম্য আর তাওহিদ হৃদয়ের জুটিটা ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। ৩৬ রানে তাদের জুটি ভাঙে দুর্ভাগ্যজনকভাবে। সৌম্যর শট বোলার ক্লার্কসনের হাতে লেগে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। হৃদয় কিছুটা বাইরে ছিলেন। ১৬ বলে ১২ করে ফিরতে হয় তাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
৮০ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ৪ উইকেট। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে দারুণ এক জুটি সৌম্যের। ১০৭ বলে তারা যোগ করেন ৯১ রান। মুশফিককে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানিয়ে জুটিটি অবশেষে ভাঙেন ডাফি। ৫৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে মুশফিক করেন ৪৫। ছবি: সংগৃহীত
-
তবে সৌম্য তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ১১৬ বলে। চার-ছক্কায় মাঠ গরম করা সৌম্যের সুযোগ ছিল দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডটি নিজের করে নেয়ার। ছবি: সংগৃহীত