এসির বিদ্যুৎ খরচ কমানোর সহজ উপায়
যারা এসি ব্যবহার করেন গরম বেড়ে গেলে তাদের বিদ্যুতের বিল বেড়ে যায়। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এসির খরচ কমিয়ে আনা যায়। জেনে নিন সে সম্পর্কে।
-
ঘুমনোর সময়ে এসিতে টাইমার লাগিয়ে রাখুন। রাতে এই যন্ত্রটি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়। তারপর আর দরকার হয় না। কিন্তু গভীর ঘুমে তা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ করা হয় না। ফলে সারা রাত এসি চলতে থাকে। সেই জন্য টাইমার দিয়ে রাখলে ভালো। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার টাইমার লাগিয়ে রাখলে নির্দিষ্ট সময়ের পর তা নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ ও টাকা দুই-ই সাশ্রয় হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
ঘরের তাপমাত্রা যত বেশি হবে এয়ার কুলার বা এই ধরনের যন্ত্র ঘর ঠান্ডা করতে তত বেশি সময় নেবে। সেক্ষেত্রে বেশি সময় ধরে এসি চালানোর প্রয়োজন পড়ে। বিলও বাড়তে থাকে চড়চড় করে। ঘরে মোটা পর্দা লাগালে বাইরের গরম হাওয়া ও আলো কম আসবে। ফলে ঘরও তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই যন্ত্রের তাপমাত্রা অবশ্যই ২৪ থেকে ২৬ সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখুন। রাতে ঘুমনোর আগে এসি স্লিপ মোডে দিয়ে রাখুন। বিদ্যুৎ কম খরচ হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
শুধু এসি বলে নয়, যে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পুরনো হয়ে গেলে তার গুণমান খারাপ হয়ে যায়। অনেকদিন ধরে একই যন্ত্র ব্যবহার করার ফলে তা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। বেশি পুরনো হয়ে গেল বিদ্যুৎ পোড়ে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই বিলও বেশি আসে। ছবি: সংগৃহীত
-
এসির ফিল্টার পরিষ্কার করুন। অনেকদিন ধরে ব্যবহার করার ফলে এসির ফিল্টারে অনেক ময়লা, ঝুল জমে থাকে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ফিল্টার পরিষ্কার রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
-
এসি ছাড়াও ঘর ঠান্ডা রাখার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। অন্দরসজ্জায় এখন গাছ লাগান অনেকেই। বেশ কিছু গাছ রয়েছে যেগুলো শুধু অন্দরসজ্জা নয় ঘর ঠান্ডা রাখতেও সহায়তা করতে পারে। অ্যালোভেরা, বস্টন ফার্ন, স্নেক প্লান্ট, উইপিং ফিগ, অ্যারিকা পাম ইত্যাদি উদ্ভিদ ছোট টবে করে ঘরে রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকে। পাশাপাশি ঘরের বাতাসকেও শুদ্ধ করে এই গাছগুলো। ছবি: সংগৃহীত