দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিকগুলো জেনে নিন
গান শুনতে কে না ভালবাসে! কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে রাখলে কানের অনেক ক্ষতি হয়, সে কথা আমরা ক’জনই বা জানি। আসুন, জেনে নিই দীর্ঘক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে থাকলে তার কুপ্রভাব কী কী হতে পারে।
-
একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, টানা এক ঘণ্টার বেশি কেউ যদি কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন, তবে তার শ্রবণক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
-
এনআইএইচএল বা নয়েজ ইনডিউসড হিয়ারিং লস সূত্র অনুযায়ী, সর্বোচ্চ শব্দমাত্রার ৬০ শতাংশের বেশি ভলিউম বাড়ানো কখনোই উচিত নয়।
-
বেশিক্ষণ হেডফোন পরে থাকলে কানের গহ্বরের ভিতরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কানের ভিতরে ঘাম জমতে থাকে। এর থেকে ব্লাকহেড বা অ্যাকনে জন্মায়।
-
অন্যের সঙ্গে হেডফোন শেয়ার করাটাও খুব একটা সুবিধার কাজ নয়। এর ফলে সবচেয়ে দ্রুত এবং সবচেয়ে সহজে ব্যাকটেরিয়া-জনিত ইনফেকশন একজনের থেকে অন্যজনের দিকে ছড়াতে পারে।
-
দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করা থেকে ভার্টিগোর মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে। প্রায়শই বেশিক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করলে বমিবমি ভাব, মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম ভাব অনুভূত হয়। এগুলি সবই ভার্টিগোর প্রাথমিক উপসর্গ।
-
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন ২০১৮ সালে একটি গবেষণা করে দেখে, ব্লু-টুথ হেডফোন ব্যবহার করলে শরীরে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশনের প্রভাব পড়ে। যা খুবই ক্ষতিকারক।
-
গাড়ি চালানোর সময়ে, বা রাস্তায় চলাকালীন জোর ভলিউমে হেডফোনে গান শোনা উচিত নয়। দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে।