ছবিতে দেখুন যে গ্রহাণু ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে
মহাবিশ্বে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে নানা ঘটনা। জানা গেছে ছোট গ্রহাণু আসছে পৃথিবীর দিকে। এতে কী ঘটবে জানা যাক।
-
স্কুল বাসের আকারের একটি গ্রহাণু আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে। তবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে যা বলছেন বিজ্ঞানীরা, তাতে এ কথা স্পষ্ট, ঘটনায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নাসা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এই স্পেস রক পৃথিবী পেরিয়ে চলে যাবে অন্য দিকে।
-
নাসার খবর অনুযায়ী, নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর ১৩,০০০ মাইল, কিলোমিটারের হিসেবে ধরলে ২২,০০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই গ্রহাণু কয়েকটি কমিউনিকেশন উপগ্রহের নিচে ঘোরাফেরা করছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রশান্ত মহাসাগরের খুব কাছ দিয়ে এটি চলে যাবে। ভালো খবর এই যে, একবার চলে গেলে ২০৪১ সালের আগে এটি আর ফিরে আসবে না।
-
বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যেটুকু অনুমান করে উঠতে পেরেছেন, তা হল, গ্রহাণুটির আকার ১৫ ফুট থেকে ৩০ ফুট। মিটারের হিসেবে ধরলে ৪.৫ মিটার থেকে ৯ মিটার। মানে, অন্যান্য গ্রহাণুর তুলনায় এটি খুবই ছোট। নাসা জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের পরিচালক পল চোডাস বলেছেন, এই আকারের গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আঘাত হানে মাঝে মাঝেই। এরা প্রতি দুতিন বছর অন্তর একবার করে জ্বলে ওঠে। আর তারপরেই মিলিয়ে যায় মহাশূন্যে। যা নিয়ে আদপেই দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এরকম ছোট গ্রহাণু অন্তত পক্ষে ১০ কোটি রয়েছে।
-
২০২০ সালের এমন গ্রহাণু সংক্রান্ত বিস্ময়ের আরও কিছুর সাক্ষী থাকা এখন বাকি আছে। এর আগে যে খবর মিলেছিল নাসার তরফে, তা হল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে অর্থাত্ ১ নভেম্বর একটি গ্রহাণু, যার নাম রাখা হয়েছে ২০১৮ভিপি১, সে পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে। তবে পুরোপুরি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার খবরও দিচ্ছে না নাসা। জানিয়েছে, এই গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার একটা আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
-
কোনো গ্রহাণু তার যাত্রা শুরু করার পর পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে কি না, তা আগে থেকেই নির্ধারণ করে বলে দেওয়া যায় না। নাসার দাবি, সে কথা টের পাওয়া যায় গ্রহাণুটির পৃথিবীর কাছে আসার নিদেনপক্ষে ঘণ্টা ছয়েক আগে। দেখা যাক, এবার গ্রহাণু আছড়ে না পড়লেও নভেম্বরে পৃথিবীকে রেয়াত করে কি না!