পয়সা করোনাভাইরাসমুক্ত করবেন যেভাবে
টাকা-পয়সা করোনাভাইরাস ছড়ানো অন্যতম মাধ্যম। তবে খুচরা পয়সা থেকে বেশি করোনাভাইরাসসহ যে কোনো ধরনের জীবাণু ছড়ায়। এবার জেনে নিন পয়সা করোনাভাইরাস মুক্ত করবেন যেভাবে।
-
করোনা আতঙ্কের জেরে ডিজিটাল লেনদেন বাড়লেও এখনো দৈনন্দিন কেনাকাটায় যথেষ্ট পরিমাণে নগদে লেনদেন হয়। বিশেষ করে স্থানীয় দোকান-বাজারে নগদ লেনদেনই ক্রেতা-বিক্রেতারা ভরসা করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন নগদ লেনদেনই লুকিয়ে রয়েছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি!
-
নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারী বিশেষজ্ঞ রাচেল গ্রাহাম (Rachel Graham) জানান, কাগজের উপর করোনাভাইরাস বেশিক্ষণ টিকে থাকতে না পারলেও ধাতব বস্তুর উপর ভাইরাসের দীর্ঘস্থায়ী অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। ফলে কাগজের নোটে আদান প্রদানের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের তেমন ঝুঁকি না থাকলেও ধাতব খুচরো পয়সায় বিপদ কিন্তু রয়েই যায়।
-
তাহলে কী খুচরো পয়সায় লেনদেন বন্ধ করে দিতে হবে? একেবারেই নয়। এগুলোকে সহজেই জীবাণুমুক্ত করা যায়। তাছাড়া, খুচরো পয়সায় লেনদেনের পর পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বাড়তি সতর্ক হলেই করোনা সংক্রমণের ভয় সহজেই এড়ানো সম্ভব।
-
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল, খুচরো পয়সায় লেনদেনের পর বাড়িতে ফিরেই আগে দুই হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। কয়েনগুলোকে যেখানে রাখেন, সেটিকে বা খুচরো পয়সায়গুলোকেও সহজেই স্যানিটাইজ করে নেয়া যেতে পারে।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেনিফার হর্নি (Jennifer Horney) জানান, শুধু খুচরো পয়সা থেকেই নয়, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থেকেও ছড়াতে পারে ভাইরাস। তবে উপযুক্ত সতর্কতায়, যথাযথ পরিচ্ছন্নতায় অনায়াসেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।