মহাকাশ থেকে দেখা যায় পৃথিবীর যেসব স্থান
মহাবিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব একটি দাগের মতো। তবে শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে পৃথিবীর কিছু আশ্চর্যজনক স্থান মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান।
-
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী মহাকাশ স্টেশনগুলো থেকে কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের ছবি ধরা পড়েছে। আর যেসব ছবি প্রকাশ করেছে বিমানচালনাবিদ্যা ও মহাকাশ সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)। ছবি: সংগৃহীত
-
গিজার গ্রেট পিরামিড: গিজার গ্রেট পিরামিড বা খুফুর পিরামিড হলো গিজা পিরামিড কমপ্লেক্সের তিনটি পিরামিডের মধ্যে প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম যা বর্তমান মিশরের এল গিজা সীমান্তবর্তী। এটি প্রাচীন বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে প্রাচীনতম এবং একমাত্র অক্ষত রয়েছে। সেখানকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যুগ যুগ ধরে চলছে গবেষণা। অবাক করা বিষয় হলো, মহাকাশ থেকেও দেখা যায় গিজার পিরামিড। ছবি: সংগৃহীত
-
ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরীয়রা এই পিরামিড নির্মাণ করেন। ২০০১ সালে নাসার মহাকাশচারীরা প্রথম মহাকাশ থেকে গিজার পিরামিডের ছবি তোলে। ছবি: সংগৃহীত
-
হিমালয়: হিমালয় এশিয়ার একটি পর্বতমালা। প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতার ১০০টিরও বেশি পর্বতচূড়া ২৬ হাজারেও বেশি উচ্চতার ১৪টি পর্বতচূড়াসহ হিমালয় পর্বতমালা গঠিত। এটি তিব্বতীয় মালভূমি থেকে ভারতীয় উপমহাদেশকে পৃথক করেছে। ভূ-তত্ত্ববিদদের ধারণা অনুযায়ী, ভারতীয় প্লেট ও এশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে হিমালয় সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের তিনটি প্রধান নদী সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গার উৎপত্তি হয়েছে এই পর্বতমালা থেকেই। ছবি: সংগৃহীত
-
এই পর্বতমালা পৃথিবীর সৌন্দর্য্যকে মহিমান্বিত করে। বিশ্বের অনেক পর্বতারোহীই এ পর্যন্ত হিমালয় জয় করেছেন, আবার অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন এমনকি কেউ কেউ মৃত্যুবরণও করেছেন। ছবি: সংগৃহীত
-
পৃথিবীর এই বিস্ময়কর পর্বতমালার দৃশ্য দেখা যায় মহাকাশ থেকেও। স্যাটেলাইটের ছবিতে ধরা পড়েছে হিমালয়ের তুষার-ঢাকা পর্বতচূড়াগুলো। ছবি: সংগৃহীত
-
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত একটি গিরিখাত। এই গিরিখাতের মধ্য দিয়ে কলোরাডো নদী বয়ে গেছে। এর বেশিরভাগ অংশই গ্রান্ড ক্যানিয়ন ন্যাশনাল পার্কের ভেতর পরেছে যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমদিককার জাতীয় উদ্যান। ছবি: সংগৃহীত
-
৪৪৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গিরিখাত পাড়ি দিয়ে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের সাক্ষী হওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি মহাকাশে যান তাহলে সেখান থেকেই পুরো গ্র্যান্ড ক্যানিয়ান দর্শন করতে পারবেন। মহাকাশ থেকে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন একটি সর্পিল নদীর মতো দেখায়। ছবি: সংগৃহীত
-
আমাজন নদী: নীল নদের পরে আমাজন হলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। এটি দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত। এর উৎসস্থল পেরুর আন্দিজ পর্বতের নেভাদো মিস্মি নামক চূড়া হতে। আমাজন নদী দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ৩০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে তিনটি দেশ বিধৌত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত
-
এই নদী যে পরিমাণ জল ধারণ করে তা বিশ্বের যেকোনো নদীর তুলনায় বেশি। আমাজন নদী যেখানে সাগরে গিয়ে মিশেছে সেখানে প্রতি সেকেন্ডে ৪.২ মিলিয়ন ঘন ফুট জল সাগরে গিয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে এই পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭ মিলিয়ন ঘন ফুট। ছবি: সংগৃহীত
-
দক্ষিণ আমেরিকার ৯টি দেশের মধ্য দিয়ে ৬ হাজার ৪০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত আমাজন নদী। এর দূরত্ব রোম থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির সমান বলে মনে করা হয়। স্যাটেলাইটও এই নদীর পুরো ছবি ক্যাপচার করতে পারেনি। ছবি: সংগৃহীত
-
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় শহর কুইন্সল্যান্ডের কোরাল সাগরে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রবাল প্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অবস্থিত। যা ২ হাজার ৯০০টির বেশি প্রবাল প্রাচীর এবং শত শত দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এটি বিশ্বের সাতটি প্রাকৃতিক আশ্চর্যের মধ্যে একটি। ছবি: সংগৃহীত
-
লাখ লাখ বছর ধরে লক্ষ লক্ষ জীবন্ত প্রাণী একত্র হয়ে বিশাল প্রবাল প্রাচীর গঠিত হয়েছে। যা পৃথিবীর সবচেয়ে বিচিত্র বাস্তুতন্ত্রের একটি এবং অস্ট্রেলিয়ার দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম। দর্শনীয় প্রবাল পলিপ ও অসংখ্য গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সামুদ্রিক প্রজাতির আবাসস্থল হলো গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। এর সাইকেডেলিক রং মহাকাশ থেকেও দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
পাম আইল্যান্ড, দুবাই: দুবাইয়ের পাম দ্বীপপুঞ্জ দেখতে বিশ্বের নানা স্থান থেকে পর্যটকরা সেখানে ভিড় করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে অবস্থিত এই আইল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত
-
বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী প্রকৌশল প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি একটি বলে প্রমাণিত। সেখানে পাম জেবেল আলি, পাম জুমেইরা ও দেইরা কৃত্রিম দ্বীপ আছে। তবে পাম জুমেইরা হলো বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম দ্বীপ। আর অবাক করা বিষয় হলো, এটি মহাকাশ থেকেও দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
টেমস নদী, যুক্তরাজ্য: লন্ডনের টেমস নদী দেখতে লাখ লাখ পর্যটকরা ভিড় করেন সেখানে। এটি বিশ্বের একটি জনপ্রিয় ও বিখ্যাত নদী। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রায় ১৪ হাজার ২৫০ ফুট বর্গ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যসহ টেমস নদীটি প্রায় ২৯ কিলোমিটার প্রশস্ত। মহাকাশ থেকে টেমস নদীও দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত