অল্প সময়ে বাথরুম পরিষ্কারের পদ্ধতি
বাথরুম পরিষ্কার করা অনেকেই ঝামেলার ও সময় সাপেক্ষ কাজ বলে মনে করেন। তবে ঝামেলা ছাড়াই খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাথরুম ঝকঝকে পরিষ্কার করা যায়।
-
অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাথরুম পরিষ্কার করেন এবং কাজের শেষে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার বাজার থেকে আনা অনেক পণ্য কিনে সেটা ব্যবহার করেও ঠিক মতো পরিষ্কার করতে পারছেন না। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে মেনে চলতে হবে কয়েকটা ঘরোয়া টিপস। ছবি: সংগৃহীত
-
টি ট্রি অয়েল দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার: টি ট্রি অয়েলের অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই বাথরুমে এটি ব্যবহার করলে দুর্দান্ত ফল পাওয়া যাবে। বাথরুমের সিঙ্ক পরিষ্কার করতে, বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে দিয়ে সিঙ্কে ভালো করে স্ক্রাব করতে হবে। এই মিশ্রণ সহজেই সব রকমের দাগ এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করবে এবং সিঙ্ক আবার ঝকঝকে দেখাবে। ছবি: সংগৃহীত
-
শেভিং ফোম দিয়ে পরিষ্কার: বাথরুমের আয়নায় অনেক সময় অনেক রকমের দাগ পড়ে। সেই দাগ তোলার জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। আয়নার উপর একটু শেভিং ফোম লাগিয়ে মিনিট খানেক রেখে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। দেখা যাবে যে শেভিং ফোমের গুণে আয়নার কাচ হয়েছে ঝকঝকে। এতে আঙুলের দাগও উঠে যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
ভিনেগার দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার: বাথরুম পরিষ্কার করার বিভিন্ন পণ্যের অনেক দাম। অকারণে সেই সব কিনে অর্থ ব্যয় না করে বাড়িতেই সহজলভ্য ভিনেগার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাথরুমের টাইলস হলদেটে হয়ে গেলে সেটা পরিষ্কার করতে ভিনেগারের সাহায্য নিতে হবে। এর জন্য গরম পানিতে ১ থেকে ২ কাপ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে টাইলস ভালো করে ঘষতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ভিনেগার দিয়ে মার্বেল পরিষ্কার না করা হয়, ভিনিগারের অ্যাসিড মার্বেল নষ্ট করে দেবে। ছবি: সংগৃহীত
-
বেবি অয়েল দিয়ে পরিষ্কার: একটা কাপড়ে বেবি অয়েল লাগিয়ে সেটা দিয়ে শাওয়ার, কলের মাথা ইত্যাদি পরিষ্কার করলে সেগুলো ঝকঝক করবে। ছবি: সংগৃহীত
-
বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার: টয়লেটের পাইপে জমে থাকা ময়লা দূর করতে এবং কমোড ইত্যাদি পরিষ্কার করতে বেকিং সোডা ব্যবহার করা যায়। ১ কাপ বেকিং সোডা এবং ২ কাপ ভিনেগার মিশিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য কমোডে রেখে ফ্লাশ করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত