যুদ্ধে ব্যবহৃত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ৭ রণতরী
যুদ্ধ শান্তি বয়ে আনে না বরং বসবাসযোগ্য সুন্দর পরিবেশ বিনষ্ট করে। কেড়ে নেয় মানুষের মূল্যবান প্রাণ ও সম্পদ। তারপরেও বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে যুদ্ধের জন্য সামরিক খাতে অনেক অর্থ বরাদ্দ করে। তৈরি করে দামি দামি বিভিন্ন অস্ত্র। এবার দেখা যাক বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ৭ সামরিক জলযানের ছবি।
-
৩.৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউএসএস আমেরিকা’ নামে এ বিমানবাহী রণতরীটি নির্মিত হয়েছে। রণতরীটি গ্যাস টারবাইন জেনারেটরের সাহায্যে পরিচালিত হয়। এর অপারেশনাল রেঞ্জ ১১ হাজার নটিক্যাল মাইল। এতে ৩৪টি বিমান অবস্থান করতে পারে।
-
৫.৫ বিলিয়ন ডলারের ‘এইচএমএস অ্যাসটিউট’ নামে এ সাবমেরিনটি একটি নিমিজ ক্লাস সাবমেরিন। রণতরীটি ৩০ নট বেগে চলতে পারে। ‘এইচএমএস অ্যাসটিউট’-এর টর্পেডো ৩০ মাইল দূর থেকেও শত্রুপক্ষের জাহাজ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম। এর মিসাইলের পাল্লা এক হাজার মাইল। এছাড়া নানা আধুনিক যন্ত্রপাতিও রয়েছে এতে।
-
চার বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ফ্রান্সের ‘চার্লস ডি গাউলি’ নামে এ বিমানবাহী রণতরীটি। এটি বাস্তবে ১৯৮৬ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হয়। তবে নানা কারণে এটি কাজ শুরু করতে পারেনি। এরপর নানা সমস্যা কাটিয়ে সম্প্রতি পারমাণবিক শক্তিচালিত এ জাহাজটি কাজ শুরু করেছে।
-
যুক্তরাজ্যের বিমানবাহী রণতরী ‘এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ’। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯.৩ বিলিয়ন ডলার। এর দৈর্ঘ্য ৯১৮ ফুট। ৬৫ হাজার টন ওজনের এ বিমানবাহী রণতরীটি ১০ হাজার মাইল চলতে পারে কোনো জ্বালানি না নিয়েই।
-
১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’। এটি ১,১০৬ ফুট লম্বা। এটি রাডারে ধরা পড়ে না। দুটি রানওয়ে রয়েছে এর ওপরে। জাহাজটিতে পাঁচ হাজার মানুষ কাজ করেন, তাদের মধ্যে চার হাজার মেরিন সেনা ও নাবিক।
-
‘ভার্জিনিয়া ক্লাস’ সাবমেরিনটি নির্মাণে আড়াই বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ নতুন ধরনের অ্যাটাক সাবমেরিন এটি। এটি রাডার ফাঁকি দিয়ে চলতে সক্ষম। এতে একটি পারমাণবিক রিঅ্যাকটরও রয়েছে, যা দিয়ে এটি দীর্ঘদিন জ্বালানি না নিয়েই চলতে পারে।
-
‘আইএনএস বিক্রমাদিত্য’ নামে ভারতের এ বিমানবাহী রণতরীটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২.৩৫ বিলিয়ন ডলার। রাশিয়া থেকে কেনার পর এতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৪৪ হাজার টন ওজনের এ জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৯৩২ ফুট।