যেমন ছিল চাঁদে যাওয়ার সময় নীল আর্মস্ট্রংয়ের ভ্রমণ
চাঁদে মানুষের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। জেনে নিন কেমন ছিল নীল আর্মস্ট্রংয়ের ভ্রমণ কাহিনি।
-
আজ থেকে ৫০ বছর আগে, ১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটে চেপে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ‘অ্যাপোলো ১১’।
-
তারপর থেকে একাধিকবার চাঁদে পাড়ি দিয়েছে মানুষ। অ্যাপোলো ১১-র ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একবার দেখে নেয়া যাক সেদিনের সেই জার্নিটা।
-
ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ হয়েছিল অ্যাপোলো ১১-এর।
-
তিনজন মার্কিন মহাকাশচারী সে দিন চাঁদের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। নীল আর্মস্ট্রং, এডুইন (বাজ) অলড্রিন এবং মাইকেল কলিনস। চাঁদের মাটিতে পা রেখে বদলে দিয়েছিলেন মানবসভ্যতার ইতিহাস।
-
১৬ জুলাই রওনা দিয়েছিলেন তারা। চাঁদের মাটিতে পৌঁছতে তাদের সময় লেগেছিল ৪ দিন। অর্থাৎ ২০ জুলাই চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণের পর চাঁদের মাটিতে নামেন তিন মহাকাশচারী।
-
সেদিন চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখেন মার্কিন মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং। তারপরে নামেন এডুইন অলড্রিন। সব শেষে নামেন পাইলট মাইকেল কলিনস। চাঁদে মানুষের সেই প্রথম পদার্পণের ঘটনা বিশ্বজুড়ে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল সেদিন।
-
একটি ব্যাগে নমুনা হিসেবে ২১.৫ কিলোগ্রাম চাঁদের মাটি এবং পাথর ভরে ফিরে এসেছিলেন তিন মহাকাশচারী। পরে জানা গিয়েছিল, সেই ব্যাগটি হারিয়ে ফেলেছিল নাসা। তবে ২০১৩ সালে সেটির খোঁজ মেলে।
-
২০১২ সালে মাত্র ৯৯৫ ডলারের বিনিময়ে এক ব্যক্তিকে ওই ব্যাগটি বিক্রি করে দিয়েছিল মার্কিন মার্শাল বিভাগ।
-
যে রকেটে চেপে উড়ে ছিল অ্যাপোলো ১১, তার উচ্চতা ছিল ৩৬৪ ফুট। ওজন ছিল ২ লাখ ৩৯ হাজার ৭২৫ কিলোগ্রাম। আর অ্যাপোলো ১১-র ওজন ছিল ৪৫ হাজার ৭০২ কিলোগ্রাম।
-
পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ এবং ফের পৃথিবীতে অবতরণ- এই মিশনটা সম্পূর্ণ হতে মোট সময় লেগেছিল ৮ দিন ৩ ঘণ্টা এবং ১৮ মিনিট।
-
সোমবার ভোর রাতে আরও একবার চাঁদে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিল ভারত। কিন্তু জ্বালানি ‘লিক’ করায় ইসরোর চন্দ্রযান ২-এর উৎক্ষেপণ স্থগিত রাখা হয়।