যেসব মাছ ভীষণ ভয়ঙ্কর
মাছ পৃথিবীর প্রায় সব মানুষের কাছেই প্রিয় খাবার। তবে কিছু মাছ আছে খাওয়া তো যায়ই না, বরং ভীষণ ভয়ঙ্কর। ভয়ঙ্কর এসব মাছ চিনে নিন।
-
মোরে ইল: ভয়ঙ্কর এই মাছটির ৮০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ প্রজাতির মাছ এতটাই বিষাক্ত যে, এগুলো খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু ঘটে।
-
ইলেকট্রিক ইল: লম্বা ও চোঙা আকৃতির মাছটি দক্ষিণ আমেরিকার নদীতে পাওয়া যায়। এ মাছটির গায়ে কোনো আঁশ নেই। এর লেজের দিকে বিদ্যুৎবাহী অঙ্গ রয়েছে। কোনো ধরনের শিকারকে পেলে তাকে একসঙ্গে প্রায় ৩০০-৬৫০ ভোল্ট বিদ্যুতের শক দিতে পারে।
-
ক্যান্দিউরা: ক্যাটফিশ প্রজাতির মাছটি দক্ষিণ আমেরিকার অ্যামাজন নদীতে পাওয়া যায়। দেখতে স্বচ্ছ এই মাছটি প্রায় আড়াই সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। রক্তচোষা এই মাছটি নদীতে গোসল করতে নামা মানুষদের মূত্রনালীর মধ্যে একেবারে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পরই মাছের তীক্ষ্ণ কাঁটার ঘায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
-
পাফার: এই মাছটিকে সোয়েলফিস বা ব্লো ফিস বলা হয়। প্রধানত সমুদ্রে পাওয়া গেলেও কখনও কখনও বিষাক্ত এই মাছটি মিষ্টি পানিতেও পাওয়া যায়। এদের দেহে টেট্রাওডনটক্সিন নামে এক বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যায় যাতে মৃত্যু নিশ্চিত।
-
পিরানহা: দক্ষিণ আমেরিকার অ্যামাজন নদীতে এই খুনি মাছটিকে পাওয়া যায়। এরা দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। শিকারের সন্ধান পেলেই এই প্রজাতির মাছ ঝাঁপিয়ে পড়ে। তীক্ষ্ণ দাঁতের সাহায্যে মুহূর্তে শিকারকে ধরে ফেলে করে দেয় এরা। কালো অথবা রূপোলি-কমলা রঙের হয় মাছটি। পিরানহা প্রায় ২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
-
রেড লায়ন ফিস: বিষাক্ত সরু পাখনার জন্য এই প্রজাতির মাছটিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে পাওয়া যায়।
-
স্টোন ফিস: বিষাক্ত এই সামুদ্রিক মাছটি ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরে পাওয়া যায়। গোলাকার পাথরের মতো এ মাছটি অনায়াসে পানির নিচে পাথরের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে।
-
টাইগার ফিস: আফ্রিকার সমুদ্রে ভয়ঙ্কর এই মাছটি পাওয়া যায়। এই মাছটি তীক্ষ্ণ দাঁত এবং কাঁটার ঘায়ে যে কোন ধরনের শিকার মুহূর্তেই কাবু করে ফেলে।