পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণী

সি ওয়্যাসপ্স : এরা জেলিফিশের একটি প্রজাতি। সি ওয়্যাসপ্স-এর লেজে এ পরিমাণ বিষ থাকে যে তাতে ২৫০ জন মানুষ মারা যেতে পারে।

বিষাক্ত ব্যাঙ : এই উজ্জ্বল হলুদ রংঙের প্রাণীটি বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত ব্যাং। এদের দক্ষিণ ও মধ্য অ্যামেরিকায় পাওয়া যায়। এরা একসঙ্গে দশজন মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে।

রিফ ফিশ : ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের সাগরের তলদেশে পাথরের মধ্যে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এই মাছটি যখন কাউকে আক্রমণ করে তখন কাঁটা ফুটিয়ে দেয়, এর বিষের কারণে রক্তে নিম্নচাপ, ভেনট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন এবং পক্ষাঘাত হয়, যা পরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে।

সামুদ্রিক শামুক কোন : সামুদ্রিক শামুকের খোলের বর্ণ বৈচিত্রের কারণে ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু এই শামুকটির সৌন্দর্যের পেছনে আছে মারাত্মক বিষ ভান্ডার। সেই বিষের এক ফোঁটায় ২০ জন মানুষ প্রাণ হারাতে পারে।

ব্লু রিং অক্টোপাস : সাধারণ পরিবেশে এটি হালকা বাদামী রংঙের। কিন্তু যখন আগ্রাসী হয়ে ওঠে তখন এর গায়ে উজ্জ্বল নীল রংয়ের রিং দেখা যায়। যখন একটি কামড়ায় তখন এর বিষাক্ত লালা স্নায়ুতন্ত্রকে আঘাত করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মানুষটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

লাবা সিডনি : অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে এই মাকড়সাদের পাওয়া যায়। এ ধরনের মাকড়সার বিষ মাংসপেশী ও শাসতন্ত্রকে অচল করে দেয়। আর বিষ যদি হৃদযন্ত্রে ঢুকে পড়ে তাহলে নির্ঘাত মৃত্যু।

প্রটোপ্যালিথোয়া : এটি এক ধরনের সামুদ্রিক ফুল, যা দেখতে অনেকটা শামুকের খোলের মত। এই ফুল থেকে নিঃসৃত ০.০২ মিলিগ্রাম বিষ ৭০ কেজি ওজনের মানুষকে মেরে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট।

ডেথস্টকার কাঁকড়া বিছা : সবধরনের কাঁকড়া বিছা মানুষের জন্য হানিকর নয়। তুরস্ক, আরব উপত্যকা এবং উত্তর আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে এদের বসবাস। পটাসিয়াম সায়ানাইডের চেয়ে ১৮ গুণ বেশি শক্তিশালী এই কাঁকড়া বিছা’র বিষ।