যেজন্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ পৃথিবীর বিস্ময়
অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় শহর কুইন্সল্যান্ডের কোরাল সাগরে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রবাল প্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অবস্থিত। যা ২ হাজার ৯০০টির বেশি প্রবাল প্রাচীর এবং শত শত দ্বীপ নিয়ে গঠিত। লাখ লাখ বছর ধরে লক্ষ লক্ষ জীবন্ত প্রাণী একত্র হয়ে বিশাল প্রবাল প্রাচীর গঠিত হয়েছে। যা পৃথিবীর সবচেয়ে বিচিত্র বাস্তুতন্ত্রের একটি এবং অস্ট্রেলিয়ার দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম। তবে কীভাবে এটি গড়ে উঠেছে সে রহস্য আজো অজানা।
-
এটিকে পৃথিবীর সমৃদ্ধ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে অন্যতম হিসেবে গণ্য করা হয়। শুধু অস্ট্রেলিয়াই নয়, পৃথিবীর ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
-
অস্ট্রেলিয়ায় কুইন্সল্যান্ডের সমুদ্রতটে প্রায় ৯০০টি দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এই প্রবাল প্রাচীরটি প্রায় ৩৪৪, ৪০০ বর্গ কিলোমিটার স্থান জুড়ে অবস্থিত।
-
পৃথিবীর আশ্চর্য প্রবাল প্রাচীরের একটি বড় অংশ ‘গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ মেরিন পার্ক’-টি একসময়ে মাছ ধরার একটি উপযুক্ত স্থান ছিল।
-
সম্প্রতি পরিবেশবিদ রোয়ান জ্যাকবসেন ঐতিহ্যপূর্ণ এই বাস্তুতন্ত্রটিকে ‘মৃত’বলে ঘোষণা করেছেন। ২০১৬ সালেই এটির মৃত্যু হয়েছে বলে তার দাবি। যদিও এটি আগের মতোই রয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেক পরিবেশবিদ।
-
পৃথিবীর সবচেয়ে বিচিত্র গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের বয়স প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ বছর। বয়স বিবেচনায় ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে এটির বিপরীত অন্যটি খুঁজে পাওয়া যায় না।
-
বিচিত্র পৃথিবীর এই বিচিত্র স্থানটি পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ তেমনি প্রতি বছর প্রায় ৩ বিলিয়ান ডলার এই পর্যটন থেকে আয় করছে দেশটির সরকার।
-
এটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রবালপ্রাচীর। বিশ্লেষকদের ধারণা, ‘কোরাল ব্লিচিং’-এর ফলে এই প্রবাল প্রাচীরের ব্যাপক ক্ষয় হয়েছে। এতে করে ব্যারিয়ার রিফের সৌন্দর্য কিছুটা কমেছে।
-
প্রতিবছর সারা পৃথিবী থেকে ২০ লাখেরও বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে। ১৯৮১ সালে এই প্রবাল প্রাচীরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেসকো। বিভিন্ন কারণে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ঝুঁকির মুখে বলে পরিবেশবাদীরা বিভিন্ন সময়ই দাবি করে আসছে।
-
অস্ট্রেলিয় গবেষকরা জানিয়েছেন, এক ধরনের গোপন ভাইরাসের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের অস্তিত্ব। দ্বীপের প্রয়োজনীয় প্রবালগুলো ‘সিমবায়োডিনিয়াম’ নামে পরিচিত ‘ফটোসিনথেটিক’ ধরনের শেওলার সঙ্গে মিলেমিশে বাস করে।