যেখানে জ্ঞানের আলোর সঙ্গে সুবাস ছড়াচ্ছে বাহারি ফুল
‘উৎকর্ষ সাধনে অদম্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেশব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কলেজটি শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে যেমন দ্যুতি ছড়াচ্ছে তেমনি কলেজের প্রাণ প্রকৃতিও সহজে হৃদয়কাড়ে। ইট পাথরের শহরে যেখানে সবুজ প্রকৃতি তেমন চোখেই পড়ে না সেখানে ৫৫ একরের বিশাল ক্যাম্পাসটি যেন সবুজের চাদরে মোড়া। এ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নিয়ে লিখেছেন,- সোহাগ ফেরদৌস
-
শহীদুল্লাহ হাউসের প্রবেশ পথ ধরে একটু সামনে এগুলেই অনেক পরিচিত-অপরিচিত ফুল আপনাকে স্বাগত জানাবে। তবে এর মধ্যে সবুজ পাতার ফাঁকে ফুটে থাকা সাদা রঙের শ্বেত কাঞ্চনে আপনার চোখ আটকে যাবে। মনে করা হয় এরা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন থেকে বাংলাদেশে এসেছে। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
সচরাচার আমরা সাদা কাঠ গোলাপ দেখতে পাই। এর সৌন্দর্য ও ঘ্রাণ আমাদের বিমোহিত করে। তবে শহীদুল্লাহ হাউসের সামনে রয়েছে লাল রঙা কাঠ গোলাপ। যার সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
শহীদুল্লাহ হলের সামনে ফুটে থাকা হরেক ফুলের মাঝে গোলাপি রঙের আরেকটি ফুলে আপনার দৃষ্টি আটকে যাবে। এটি হলো হলুদ পানামা রোজ। যার আদি নিবাস দক্ষিণ মেক্সিকো। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
পাশেই দেখা যাবে আমাদের পরিচিত একটি রক্ত রাঙা ফুল। এর নাম জবা। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
হাউসের পশ্চিম পাশে দেখা যাবে স্থল পদ্ম। নামের সঙ্গে পদ্ম শব্দটি যুক্ত থাকলেও এ ফুল কিন্তু পানিতে হয় না। বরং স্থলেই ওরা জন্মে এবং বেড়ে ওঠে। সচরাচর আমরা হালকা গোলাপি রঙের স্থল পদ্ম দেখলেও এটি হালকা হলুদ বর্ণের। এটি থাইল্যান্ডের জাত হওয়ায় থাই স্থল পদ্ম নামে পরিচিত। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
এর পাশেই দেখা মিলবে রেড পানামা রোজের। পানামা রোজ সাধারণত হলুদ হলেও এই লাল রঙের জাতটি বিরল। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
হলের পূর্ব পাশেই দেখা মিলবে এই হলুদ কলাবতী ফুলের। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
বেগুনি রঙের এই ফুলটির নাম গ্রাউন্ড অর্কিড। বাহারি এই ফুলটি ফুটেছে হাউসের পূর্ব দেয়াল সংলগ্ন একটু আড়ালেই। কারণ এ ফুল ভিজা মাটিতে এবং একটু ছায়ায় জন্মে। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
কমলাভ লাল বা লালাভ কমলা রঙের ফুলগুলো থোকায় থোকায় ফুটে আছে হাউসের পাশেই। এর নাম হ্যামেলিয়া। এর লম্বা গলা ফুলগুলো হামিংবার্ডের খুব পছন্দের। ফুলের মুখের কাছে উড়ন্ত অবস্থায় তারা মধু খায়। হাউসের পাশের এ ফুলগুলোতেও দেখা গেলা লাল পিঁপড়ের দল। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
দারুণ সুন্দর ফুল জারবেরা। শহীদুল্লাহ হাউসের কুঞ্জের সৌন্দর্য আরও কয়েকগুণ বাড়িয়েছে লাল রঙা ফুলটি। জার্মান পরিবেশবিদ ট্রাগোট জরবার প্রথম এই ফুলের গণটির অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন বলে তার নামানুসারেই ফুলটির এরকম নামকরণ হয়েছে। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
গন্ধরাজ ফুলের সৌন্দর্য ও সুবাস আমাদের পরিচিত। তবে কখনো হলুদ গন্ধরাজ দেখেছেন? হাউসের পশ্চিম পাশের কুঞ্জে ফুটেছে মিষ্টি গন্ধ যুক্ত এই হলুদ গন্ধরাজ। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
সবুজ পত্রপল্লবে ঠাসা, কাঁটাময় কাণ্ডে ফুটে থাকা ফুলটি রোজ ক্যাকটাস। পেরেস্কিয়া প্রজাতির ফুলটি রয়েছে হাউসের ঠিক সামনেই। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
হাউসের পেছনের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন লতানো একটি সুন্দর গাছে আপনার দৃষ্টি আটকে যেত বাধ্য। এর নাম ঘোড়া চাবুক। গাছটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো, মঞ্জরীপত্রসহ সুশৃঙ্খল ভাবে বড়ো হওয়া এর পুষ্পদণ্ড। মঞ্জরীপত্রগুলো পুষ্পদণ্ডের এমনভাবেই বিন্যস্ত থাকে যে দেখলে মনে হবে, কেউ যেন সুন্দর করে বিনুনি বেঁধে দিয়েছে। ছবি: সোহাগ ফেরদৌস
-
শহীদুল্লাহ হাউসের যত্নে গড়া ফুল বাগানে আরেকটি ফুলের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। এটি মেস্তা জবা। ছবি : সোহাগ ফেরদৌস