সবুজের মাঝে কমলার রঙিন ছোঁয়া
ঘন সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে রসালো কমলা। দূর থেকে মনে হয়, গাছের পাতার ফাঁকে আলো জ্বলছে। ছবি: এ এইচ শামীম
-
গাছজুড়ে রসে টইটম্বুর পাকা কমলার থোকা। শহুরে মানুষ কমলাবাগান ঘুরে ঘুরে গাছে ঝুলে থাকা কমলা নেড়েচেড়ে দেখছেন আর অন্য রকম এক সুখানুভূতিতে আপ্লুত হচ্ছেন। এ যেন রঙিন ছোঁয়ার দিন।
-
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এই ‘চায়নিজ’ কমলাবাগান। সুদূর চীন দেশে ব্যাপক চাষ হয় বলে ফলটির এমন নামকরণ।
-
তবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ছাপরহাটি এলাকার কমলাচাষি মলয় কুমার লিটনের বাগানে এখন এ ফলটির বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে। ফলনও হয়েছে ভালো। রং ও আকার দেখে গাছ থেকে পছন্দমতো কমলা নিয়ে দর্শনার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বাগান মালিক।
-
বাগানের উদ্যোক্তা মলয় কুমার লিটন (৪৫) স্থানীয় বাজারে গানের সিডি/ক্যাসেট বিক্রি ও রেকর্ডিংয়ের ব্যবসা ছেড়ে গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, গ্লাডিওলাস আর রজনীগন্ধার বাণিজ্যিক উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৮ সালের দিকে পৈত্রিক ৮০ শতাংশ (প্রায় আড়াই বিঘা) জমিতে ফুলের নার্সারি হিসেবে বাগানটি শুরু করেন।
-
২০২০ সালে করোনা মহামারির প্রভাব পড়ে গাইবান্ধার ফুল বাজারে। ফুল ব্যবসায় করোনার ধাক্কা সামলে নিতে এবং মন্দা কাটাতে লিটন ওই বছরই বাগানে কমলার চাষ শুরু করেন। নিবিড় পরিচর্যায় ২০২২ সালে গাছে ফল আসে।