বারি-৫ পেঁয়াজে খরচ কম, লাভ বেশি
বারি-৫ নামক নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষে তুলনামূলক কম খরচে সাড়ে তিনগুণ বেশি ফলন হয়। নতুন জাতের এই পেঁয়াজ নিয়ে বেশ আশাবাদী পাবনার চাষিরা। ছবি: আলমগীর হোসাইন নাবিল
-
চাষিদের পাশাপাশি বারি-৫ নামক নতুন জাতের এই পেঁয়াজ নিয়ে আশাবাদী কৃষি বিভাগও।
-
চাষি ও কৃষি বিভাগ বলছে, সাধারণত গ্রীষ্মকালে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়। কারণ এ সময় চাষিদের হাতে কোনো পেঁয়াজ থাকে না। আগেই অল্প দামে চাষিদের থেকে পেঁয়াজ কিনে মজুত রাখে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে সংকটকালে পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজি শুরু হয়। এসব বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আওতায় বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্র বারি-৫ নামে একটি জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করে।
-
বারি-৫ আবাদে মুড়িকাটা বা চারা পেঁয়াজের তুলনায় ব্যয় তুলনামূলক কম। কিন্তু ফলন কয়েকগুণ বেশি। মাত্র ৩০ হাজার টাকা খরচে প্রতি বিঘায় ফলন দেড়শ থেকে দুইশ মণও হয়ে থাকে। প্রতিটি পেঁয়াজ ওজনে ২০০-৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
-
কম খরচে নতুন জাতের উচ্চ ফলনের পেঁয়াজ চাষে লাভের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেশি। তাই এ পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন চাষিরা।
-
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৯টি উপজেলায়ই কম-বেশি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের নতুন জাত বারি-৫-এর আবাদ হয়েছে। তবে বেশি হয়েছে সদর, ঈশ্বরদী, সাঁথিয়া, সুজানগর, চাটমোহর ও আটঘরিয়া উপজেলায়।
-
জেলায় এবার প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে এ পেঁয়াজের আবাদ করেছেন চাষিরা। বিঘায় দেড়শ মণ ফলন ধরলেও এ থেকে প্রায় ৮০ হাজার মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।