‘বাক্সে মৌমাছি, লাখ টাকার স্বপ্ন’
বাক্সে মৌমাছি পালন করে মাসে লাখ টাকা আয়ের আশা করছেন রাজবাড়ীর মৌ-চাষি মো. মাসুদ। ছবি: রুবেলুর রহমান
-
পড়াশোনার পাশাপাশি বছরের ৮ মাস ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় জেলার বিভিন্ন স্থানে বাক্স বসিয়ে মৌমাছি পালন করে মধু আহরণ করেন মাসুদ। এতে একদিকে যেমন মধু আহরণ করে লাভবান হচ্ছেন, তেমনই মৌমাছির মাধ্যমে ফসলের পরাগায়ন ঘটায় উৎপাদন বেড়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
-
মৌ-বাক্স স্থাপনের ১২-১৫ দিনের মধ্যেই মধু সংগ্রহ করা যায়।
-
মৌসুমের শুরুতে সরিষা ক্ষেতের পাশে সারিবদ্ধ ভাবে মৌ-বাক্স বসিয়ে শুরু হয় মৌমাছি পালন। এভাবে ২ মাস ধরে চলে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ। এরপর ধনিয়া, কালোজিরাসহ বিভিন্ন ফসলের মধু আহরণ করে বছরের ৮ মাস অতিবাহিত করেন।
-
মৌ-চাষে নিজেদের থাকা-খাওয়ার খরচ ও মৌমাছির পরিচর্যা ছাড়া তেমন বাড়তি খরচ নেই। ফলে বাক্সে মৌ-চাষ একটি লাভজনক পেশা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
-
জানা যায়, রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দের বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ হয়েছে সরিষা। মাঠের পাশেই বসানো হয়েছে মৌ-বাক্স।
-
মাঠে মাঠে হলুদ ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেন সেজেছে অপরূপ সাজে। ফুলে বসে মধু আহরণে ব্যস্ত মৌমাছিরা।
-
এবার রাজবাড়ী সদরের বাগমারা, রামকান্তপুর, গোয়ালন্দসহ বিভিন্ন স্থানে সরিষা ক্ষেতের পাশে বাক্সে মৌমাছির চাষ থাকায় পরাগায়নের মাধ্যমে অন্য বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো পাওয়ার আশা চাষিদের।