বাগানে হলুদ মাল্টার হাসি
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মুজগুন্নী গ্রামে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করেছেন উদ্যোক্তা আব্দুল করিম। মাত্র আড়াই বছরেই মাল্টা উৎপাদন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। ছবি: মিলন রহমান
-
আব্দুল করিমের এই পথ সহজ ছিল না। প্রায় এক যুগ আগে মুরগি পালন, কেঁচো সার উৎপাদনসহ নানা কাজে ব্যর্থ হয়ে সর্বস্বান্ত হন। দেনার দায়ে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
-
সেসময় মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায়ের প্রেরণায় কৃষি বিভাগের শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের আওতায় ১ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক বারি মাল্টা-১ জাতের গাছের চারা রোপণ করেন।
-
ক্ষেতে ১৭০টি চারা রোপণের পর শুরু করেন নিবিড় পরিচর্যা। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচর্যা শুরু করেন গাছগুলোর। ফল পেতে শুরু করেন ২ বছর পর।
-
থোকায় থোকায় ঝুলে আছে হলুদ মাল্টা।
-
এক সময়ের পুঁজি হারানো আব্দুল করিমের মাল্টা বাগানে ২৫-৩০ জন নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা নিয়মিত শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন।
-
মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ‘মণিরামপুরে মাল্টা চাষের উদ্যোগ অত্যন্ত ইতিবাচক। আব্দুল করিম এই মাল্টা চাষে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার ফলন দেখে আশপাশের এলাকার অনেকেই মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কৃষি বিভাগও তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে।’