তরমুজ-শসা চাষে ঘুরে দাঁড়াতে চান ইকবাল
গ্রীষ্মকালীন তরমুজ আবাদ করেছিলেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ইকবাল হোসেন। তবে বন্যার কারণে তার পুরো জমির তরমুজ পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। এতে দমে যাননি তিনি। ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এই তরুণ। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
বন্যার ক্ষত শেষ হওয়ার পর আবার গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। কিছুদিন পর জমি থেকে তরমুজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করবেন।
-
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রায় ৪ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার তরুণ এই কৃষি উদ্যোক্তা।
-
জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন পুরো এলাকার মানুষের মাঝে আইডল। তার দেখাদেখি আরও অনেকে গ্রীষ্মকালীন তরমুজসহ নানা ধরনের ফসল চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
-
চলতি মৌসুমে ৫০ শতক জমিতে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে মালচিং ও অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করেছিলেন গ্রীষ্মকালীন তরমুজ।
-
তরমুজের সাথী ফসল হিসাবে একই জমিতে চাষ করেছিলেন গ্রীষ্মকালীন কাঁচামরিচ, টমেটো। ফলন পেতে শুরু করে ফলন দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন এই স্বপ্নবাজ কৃষক।
-
কিন্তু আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ফেনী ও মিরসরাই উপজেলায় অতি বৃষ্টি ও উজান নেমে আসা পানি ও পাহাড়ি ঢলে টানা ৭ দিনের বন্যায় তলিয়ে যায় কৃষক ইকবালের স্বপ্নের তরমুজ ক্ষেত।
-
দুই লাখ টাকা লোকসানে পড়ে ও দমে যায়নি ইকবাল। স্থানীয় এনজিও ও আত্মীয় স্বজনদের থেকে ধার দেনা করে বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে জৈবসার ও কোকফিড মিশ্রণে সিডলিং ট্রেতে চারা প্রস্তুত করে বেডগুলোতে তরমুজ, রকমেলন ও শসা আবাদ করে পুনরায় আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি।
-
মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা বিভিন্ন রংয়ের তরমুজ গাছে ঝুলছে।
-
তরমুজ ও শসা গাছে ফলন আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে শসা বাজারজাত শুরু করেছে। চলতি মাসের শেষদিকে তরমুজ বাজারজাত করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
-
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, বন্যায় খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তরমুজ চাষি ইকবাল। ক্ষতি কাটিয়ে নতুন করে আবারও তরমুজ আবাদ করছেন তিনি। ভালো ফলনও হয়েছে, এরই মধ্যে কয়েকবার ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভালো বিক্রি হতে পারে।
-
তিনি আরও বলেন, ইকবাল খুবই পরিশ্রমী একজন কৃষক। তার দেখাদেখি অনেকে গ্রীষ্মকালীন তরমুজসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করছে।