লাকি ব্যাম্বু চাষে সফল দুই ভাই
বর্তমানে অনেকের কাছেই বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে ‘লাকি ব্যাম্বু’ বা ‘ভাগ্যবান বাঁশ’। কোনো দেশে একে ফ্রেন্ডশিপ বাঁশ, কোঁকড়া বাঁশ, চাইনিজ ওয়াটার ব্যাম্বু বা দেবীর দয়ার গাছসহ বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। অনেকেই এ বাঁশ বাড়িতে রাখাকে শুভ বলে মনে করেন। এছাড়া ঘর সাজাতেও এর জুড়ি নেই।
-
গাইবান্ধায় প্রথমবারের মতো এই বাঁশ বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন হাফিজ এবং হাসিবুল নামের দুই ভাই। লাকি ব্যাম্বু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের টব এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে কয়েক বছরে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন তারা। ছবি: এএইচ শামীম
-
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, লাকি ব্যাম্বু উদ্ভিদের রং গাঢ় সবুজ বলে তা বাড়ির অন্তঃপুরে রাখলে ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সবুজের দিকে তাকালে চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকে। উদ্ভিদটিকে বাঁশ গাছ বলা হলেও এ গাছ আসলে বাঁশ প্রজাতির নয়, এটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলের লিলি প্রজাতির গাছ। ছবি: এএইচ শামীম
-
জানা গেছে, চার খণ্ডে বিভক্ত তিন বিঘা জমিতে তিন রঙের লাকি ব্যাম্বু চাষ করেছেন হাফিজ ও হাসিবুল। কোনো অংশে চাষ করা হয়েছে সবুজ রঙের, কোনো অংশে আবার সবুজের মাঝে সাদা ডোরাকাটা, কোনো অংশে লাগানো হয়েছে গাঢ় সবুজ রঙের বাঁশ। সূর্যের আলোতে উৎপাদন হয় না বলে আধো আলো-ছায়া দেওয়ার জন্য জমির ওপর টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে সবুজ রঙের নেট জাতীয় কাপড়। ছবি: এএইচ শামীম
-
বাগানে ঢুকতেই চোখ যেন আটকে যায় সবুজে ভরা লাকি ব্যাম্বু উদ্ভিদের নজরকাড়া সৌন্দর্যে। টবে রাখার মতো উপযোগী করে সাজানো একেকটি ডিজাইনের দাম ৭০০-১০০০ টাকা। কখনোবা তারও বেশি। সে হিসেবে প্রতিবার রপ্তানিতে হাফিজের আয় হয় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। ছবি: এএইচ শামীম
-
তাদের চাষ দেখে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। দুই ভাইয়ের বাগান পরিচর্যা করে সংসার চালাচ্ছেন শ্রমিকেরা। এলাকাবাসী জানান, এ বাঁশ দিয়ে সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র তৈরি হয়। দুই ভাইয়ের মতো অন্যরা এভাবে উদ্যোক্তা হয়ে বেকারত্ব দূর করবে, এমন আশা তাদের। ছবি: এএইচ শামীম