অসময়ে তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন
নড়াইলের কালিয়ায় বর্ষাকালীন হাইব্রিড জাতের অফ সিজন তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কম খরচে বেশি ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান তারা। এই সফলতা দেখে অসময়ের তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেকেই।
-
কৃষি বিভাগও হাইব্রিড জাতের তরমুজ আবাদে কৃষকদের পরামর্শ, বিনা মূল্যে সার, বীজ, নগদ অর্থ দিয়ে সার্বিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছে। চলতি বছর নড়াইলে ২০ হেক্টর জমিতে বর্ষাকালীন তরমুজের চাষ হয়েছে। যা গত বছর থেকে বেড়েছে। কৃষক ফলন আশা করছেন হেক্টর প্রতি ১৫ টন। ছবি: হাফিজুল নিলু
-
মাচায় মাচায় ঝুলছে হলুদ, কালো বিভিন্ন ধরনের তরমুজ। কালিয়া পৌরসভার ছোট কালিয়ার গোবিন্দনগর এলাকার বিলে, সালামাবাদ ইউনিয়নের ভাউরীর চর বিলে, বাওইসোনা ইউনিয়নের ডুটকুড়া বিলে এবং ভক্তডাঙ্গা বিলের অসংখ্য মাছের ঘেরের পারে বিশেষ জাতের বারোমাসি তরমুজ আবাদ হয়েছে। ছবি: হাফিজুল নিলু
-
নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ কামাল হোসেন জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় খুলনার ডুমুরিয়া থেকে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে গাছবাড়িয়া বিলের ৭ একর মাছের ঘেরের পারে ১ হাজার ৪০০টি চারা রোপণ করেছেন। তার মোট খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এবার আশা করছেন ৩ লাখ টাকা বিক্রি হবে। ছবি: হাফিজুল নিলু
-
তরমুজ এখন সারাবছরই চাষ করা যায়। বীজ বপনের ৬০-৭০ দিনেই ফসল ঘরে তোলা যায়। বাওইসোনার ডুটকুড়া গ্রামের অসিত কুমার বিশ্বাস ডুটকুড়া বিলে ৩ হাজার চারা রোপণ করেছেন। খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। আশা করছেন ১২ হাজার কেজি তরমুজ ৬ লাখ টাকা বিক্রি হবে। ছবি: হাফিজুল নিলু
-
কালিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর প্রদীপ কুমার বর্মণ জানান, ১৫০ বিঘা মাছের ঘেরের পারে ১০ হাজার চারা রোপণ করে খরচ হয়েছে ৮ লাখ টাকা। ৯০ হাজার কেজি তরমুজের ফলন হওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি। বাজারমূল্য ঠিক থাকলে ৪০-৫০ টাকা পাইকারি কেজিদরে বিক্রি করে প্রায় ৪০ লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন। ছবি: হাফিজুল নিলু