দৃষ্টি কেড়েছে অসীমের ছাদ বাগান
রাজধানীর মহাখালীর বাসিন্দা অসীম সরকার। গাছপালার প্রতি তার গভীর ভালোবাসার পরিচয় দিয়েছেন অনন্য ছাদ বাগানের মাধ্যমে। নগরজীবনের কংক্রিটের মাঝে প্রকৃতির সান্নিধ্য খুঁজে পাওয়ার জন্য তার ছাদকে রূপান্তরিত করেছেন সবুজ মহাকাব্যে।
-
তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ভাড়াটিয়া, বাড়িওয়ালা নই। তবে এই বাগানের মাধ্যমে আমি গাছপালার প্রতি আমার ভালোবাসা প্রকাশ করছি। গাছ মানুষের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা কেবল গাছ ও মানুষই জানে। গাছ আমাদের কার্বন-ডাই-অক্সাইড নেয় এবং অক্সিজেন দেয়। শহরের পরিবেশে অভ্যস্ত হতে কষ্ট হচ্ছিল, এজন্য আমি ছাদ বাগান শুরু করি।’ ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়
-
বাড়িওয়ালা বয়স্ক মানুষ হওয়ায় নিজে বাগান না করলেও অসীমকে বাগান করার অনুমতি দিয়েছেন। অসীম বলেন, ‘বাড়িওয়ালা নিজেও গাছপালা পছন্দ করেন। তাই আমাকে গাছপালা করার অনুমতি দেন এবং তিনি নিজেও এই গাছপালা উপভোগ করেন।’ ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়
-
অসীমের ছাদ বাগানে আছে নানা প্রকারের ওষুধি, ফলদ, বনজ গাছ এবং শাক-সবজি। এখানে পাওয়া যায় আতা, লেবু, করমচা, আম, কামরাঙা, আমলকি এবং সবজি হিসেবে সাজনা, করল্লা, কচুশাক, পুঁইশাক, তেলাকুচা, পালংশাক, বিলাতি ধনেপাতা। এ ছাড়া ওষুধি গাছের মধ্যে আছে নিম, ঘৃতকুমারী, মেহেদি এবং ফুলের মধ্যে বেলি, হাসনাহেনা, রঙ্গন, কাঠগোলাপ, নয়নতারা, ঘাসফুল ইত্যাদি। ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়
-
অসীম শুধু গাছপালার প্রতি ভালোবাসাই দেখাননি, তিনি পাখি পালনেও মনোযোগী। তিনি বলেন, ‘পাখির ডাক আমাকে খুব আনন্দ দেয়। সকালবেলা ঘুঘু, কবুতর, বাজিগর পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে; যা খুবই উপভোগ্য। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে কিছু পাখি মাঝে মাঝে ছেড়ে দিই, যাতে অন্যরাও মিষ্টি পাখির ডাক শুনতে পারেন।’ ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়
-
তিনি শুধু ছাদ বাগানেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, সড়কেও অজস্র গাছ লাগিয়েছেন। অসীম বলেন, ‘শহরের তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমরা যদি শহরের প্রতিটি রাস্তায় গাছ লাগাই তাহলে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমবে। সিটি কর্পোরেশন আগে কিছু গাছ লাগালেও অধিকাংশ অযত্নে নষ্ট হওয়ার উপক্রম। তাই মহাখালী থেকে গুলশান পর্যন্ত ডিভাইডারে আমি অনেক গাছ রোপণ করেছি।’ ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়