খাগড়াছড়িতে ফলছে আরবের আলুবোখারা
পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে মসলা জাতীয় ফসল আলুবোখারা।
-
প্রথমবারের মতো আলুবোখারা চাষে সফল হয়েছেন খাগড়াছড়ির কৃষক ম্রাসাথোয়াই মারমা। ম্রাসাথোয়াই মারমা ছাড়াও অনেকেই আলুবোখারা চাষে ঝুঁকছেন। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
জানা গেছে, ২০১৯ সালের দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মিশ্র মসলা চাষ প্রকল্পের আওতায় ১২০টি আলুবোখারার গাছের চারা লাগান কৃষক ম্রাসাথোয়াই মারমা। উচ্চমূল্যের আলুবোখারা চাষ করলেও প্রক্রিয়াজাত করার প্রক্রিয়া না জানায় হতাশ তিনি। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
আলুবোখরা মূলত পোলাও, বিরিয়ানি, রোস্ট, সালাদ, জ্যাম, জেলি, আচার এবং বোরহানিসহ নানা অভিজাত খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয়। বাংলাদেশে ফলটি সাধারণত ভারত থেকে আমদানি করা হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে আলুবোখারার উন্নত জাতগুলো উদ্ভাবিত হয়। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় শীত প্রধান ও অল্প উষ্ণ এলাকায় ব্যাপকভাবে আলুবোখারা চাষ হচ্ছে। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে উদ্ভাবিত বারি আলুবোখারা-১ জাতটি ২০১৩-১৪ সালে অনুমোদন করা হয়। এর গাছ মাঝারি আকারের, পাঁচ-ছয় মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট হয়ে থাকে। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
আমাদের দেশে আলুবোখারার চাহিদা অনেক। দেশের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় প্রতি বছর। কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়াজাত করতে না জানার কারণে বাগানেই নষ্ট হচ্ছে আলুবোখারা। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
কৃষিবিদদের মতে, পাহাড়ের আবহাওয়া আলুবোখারা চাষে খুবই উপযোগী। পাহাড়ি অনাবাদি পতিত জমিতে চাষ করলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে। বাড়ির উঠানেও এ ফল চাষ করা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। উচ্চ পুষ্টিমান, সুগন্ধযুক্ত এবং ভেষজ গুণের কারণে এটি বেশ সমাদৃত। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া