২০০ একর জমিতে ধনিচা চাষ
জমির প্রাণ ফেরাতে কৃষকেরা নিয়মিত সবুজ (জৈব) সার হিসেবে ব্যবহার করতেন ধনিচা। কিন্তু কালের বিবর্তনে জমিতে হাইব্রিড ফসল আর রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় প্রায় উঠেই যাচ্ছে ধনিচার চাষ।
-
নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে ২০০ একর জমিতে ধনিচা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। খামারটিতে ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদনের পরপরই রোপণ করা হয় এই সবুজ সার। ছবি: ইব্রাহিম সুজন
-
জানা যায়, ১৯৫৭-৫৮ সালে সরকার ডোমার খামারটি প্রতিষ্ঠা করে। তৎকালীন কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে খামারের কার্যক্রম শুরু হয়। বীজ আলু উৎপাদনে বেশি উপযোগী মনে করে ১৯৮৯-৯০ সালে খামারটি আলু বীজ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়। ছবি: ইব্রাহিম সুজন
-
আশানুরূপ ফলন পেতে এবং মাটিকে উৎপাদনক্ষম রাখতে বর্তমানে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিকল্পিত রাসায়নিক সারের ব্যবহারের ফলে মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে। বিপন্ন হয়ে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। ছবি: ইব্রাহিম সুজন
-
দেশের ভৌগলিক অবস্থানের তুলনায় বেশি মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ভূমির ওপরেই মূল ভরসা। সেজন্য জমির উর্বরা শক্তি অক্ষুণ্ণ রাখতেই কৃষি বিভাগকে নিতে হচ্ছে নতুন নতুন পরিকল্পনা। এরই ধারাবাহিকতায় হচ্ছে ধনিচার চাষ। ছবি: ইব্রাহিম সুজন
-
ধনিচা মাটির উর্বরতা ও ভৌত গুণাবলির উন্নতি সাধন করে। এটির মূল মাটির গভীরে যাওয়ায় পুষ্টি শোষণ করে মাটির উপরিভাগে আনে। মাটিতে গাছের পুষ্টি উপাদানকে সংরক্ষণ করে। একই সঙ্গে জমির আর্দ্রতা ও জোঁ অবস্থা সঠিক রাখে। এঁটেল মাটিকে নরম করে এবং বেলে মাটির পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্ষয়রোধ করে। ছবি: ইব্রাহিম সুজন