ভুট্টায় বদলেছে চরবাসীর ভাগ্য
ফরিদপুর সদর উপজেলার পদ্মা নদী বেষ্টিত ডিক্রীরচর, নর্থচ্যানেল ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আবাদ হয়েছে ভুট্টা। এতে পরিবর্তন হচ্ছে চরবাসীসহ চাষিদের ভাগ্য।
-
বর্তমানে চরগুলো আগের মতো বছরের পর বছর পানির নিচে থাকে না। এখন বছরের ৩ থেকে ৪ মাস পানি থাকে। তাই বছরের ৭ থেকে ৮ মাস পানি না থাকায় এবং কোথাও কোথাও বিশেষ করে উঁচু এলাকায় বছরের ৯ থেকে ১০ মাস পানি না থাকায় জমিভেদে এখন বছরে ২ থেক ৩ বার ভুট্টার চাষাবাদ হয়। এতে বাড়ছে ১২০ দিনের ভুট্টা চাষ। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
জানা যায়, একসময় চরাঞ্চলবাসীর জীবন-জীবিকা ঘিরে ছিল গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস ও মুরগি পালন। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া আগাছার ওপর ভর করেই পশুপালনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন তারা। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
বেশ কয়েক বছর আগে পশুর খাবারের চাহিদা মেটাতে কেউ কেউ ভুট্টা চাষ শুরু করেন। প্রায় এক যুগ আগেও তারা ভুট্টার গাছকে গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করতেন। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
রোদে ভুট্টা শুকাতে ব্যস্ত চাষিরা। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
তবে প্রায় এক দশক আগে থেকে হলেও ভুট্টার চাষাবাদ বেড়েছে। ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে এলাকার মানুষের জীবনচিত্র। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে ফরিদপুরের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে ভুট্টার চাষাবাদ। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
২০২৩-২৪ মৌসুমে প্রায় ৬ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬৫ হাজার মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকার মতো। এই আবাদের অধিকাংশই পদ্মা নদীর চরাঞ্চল এলাকার। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
খরিপ-২ মৌসুমের (চলমান) আবাদে ৪৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও তা ২ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে। আবাদ এখনো চলমান। ছবি: এন কে বি নয়ন