ক্ষতি জেনেও বেড়েছে তামাক চাষ
নগদ অর্থসহ বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় স্বাস্থ্য ও জমির ক্ষতি জেনেও তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন রাজবাড়ীর দরিদ্র কৃষকরা।
-
চাষ করা এই তামাক পাতা শুকানো হচ্ছে বাড়ির উঠান, রাস্তার পাশ ও বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে। এলাকার পরিবেশেও তামাকের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। নানা রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে সব বয়সী মানুষ। ছবি: রুবেলুর রহমান
-
কার্তিক মাসে তামাক চাষ শুরু করে চৈত্র-বৈশাখ মাস পর্যন্ত সম্পন্ন হয়। বিঘাপ্রতি জমিতে সব মিলিয়ে তাদের প্রায় ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হলেও সেখান থেকে প্রায় ৭-১০ মণ তামাক পান চাষিরা। যার মূল্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে ৬০ কেজির বেল্ট করে কোম্পানির এজেন্টের কাছে বিক্রি করেন তারা। ছবি: রুবেলুর রহমান
-
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর রাজবাড়ীতে ৩০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। ২০২৩ সালে চাষ হয়েছিল ২৮ হেক্টর, ২০২২ সালে ১৩ হেক্টর জমিতে। এ বছর সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলায়। ছবি: রুবেলুর রহমান
-
তামাক চাষিরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তামাক চাষ করলেও তেমন সমস্যা দেখা দেয়নি। তামাকে স্বাস্থ্যর ক্ষতি হয় জানি। তবে অন্য ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় চাষ করছি। একটি টোব্যাকো কোম্পানি থেকে চাষের জন্য নগদ টাকা, সারসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়। ছবি: রুবেলুর রহমান
-
স্থানীয়রা বলেন, আগে নদীর তীর দিয়ে তামাকের চাষ দেখা গেলেও এ বছর উঁচু জমিতে আবাদ হয়েছে। তামাকের গন্ধে পাশ দিয়ে যাওয়া যায় না। ভালোভাবে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না। সরকারের উচিত তামাক চাষ ও কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া। যেখানে তামাক চাষ হয়, সেখানকার মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়। ছবি: রুবেলুর রহমান