বিলুপ্তির পথে বিজু ফুল
প্রকৃতির চিরাচরিত নিয়মে চৈত্র মাসেই দেখা মিলে বিজু ফুলের। এই ফুল পাহাড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে ভিন্ন নামে পরিচিত। চাকমারা ‘ভাত জোড়া ফুল’, ত্রিপুরারা ‘কুমুইবোবা’, মারমারা ‘চাইগ্রাইটেং’, সাঁওতালরা ‘পাতাবাহা’, কারো কারো কাছে ‘ভিউফুল’ নামেও পরিচিত।
-
পাহাড়ের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী উৎসবের নাম ‘বৈসাবি’। বৈ-সা-বি শব্দটি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ‘বৈসু’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ ও চাকমাদের কাছে ‘বিজু’ নামে পরিচিত। ‘বৈ-সা-বি’ উৎসবে বিজু ফুলের প্রচুর কদর। উৎসবের প্রথম দিনটিই ফুল বিজু। ছবি: মাহবুবুল ইসলাম পলাশ
-
এই দিন সাত সকালেই জঙ্গল থেকে ফুল তুলে মালা গেঁথে ঝুলানো হয় ঘরের মূল দরজায়। তাছাড়া বিজু ফুলের সঙ্গে নানা প্রকার ফুল মিশিয়ে কলা পাতায় নিয়ে চেংগী নদীর বালুর স্তূপ বা বাড়ি আশপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়া আর নদীতে রেখে প্রার্থনায় বসে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের লোকজন। ছবি: মাহবুবুল ইসলাম পলাশ
-
সবুজ পাতার বুক চিরে থোকায় থোকায় ফুটে থাকা বিজু ফুল দেখতেও নজরকাড়া। ছবি: মাহবুবুল ইসলাম পলাশ
-
বিজু ফুল কলি থাকা অবস্থায় হালকা লাল রঙের মনে হয়। কিন্তু বিজু যখন পরিপূর্ণভাবে ফোটে তখন ঝকঝকে সাদা দেখায়। ছবি: মাহবুবুল ইসলাম পলাশ
-
তবে পাহাড়ে বৃক্ষ শূন্যতার কারণে বিজু ফুল প্রায় বিলুপ্তির পথে। বন উজাড়ের পাশাপাশি মূলসহ উপড়ে ফেলার কারণে দিন দিন তা হারিয়ে যাচ্ছে। ছবি: মাহবুবুল ইসলাম পলাশ