লোকসানে ফরিদপুরের বাঙ্গি চাষিরা
ফরিদপুরের সদরপুরে ব্যাপকভাবে চাষ হয় লালমি জাতের বাঙ্গি। এ বছর রোজার শুরুতে বাজারে উঠাতে না পারায় আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। কয়েকটি জেলায় অল্প পরিসরে এ বাঙ্গি চাষ হলেও কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এটি ফরিদপুর জেলার ফসল। এ বাঙ্গির চাষ এ জেলায়ই বেশি হয়। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
জানা যায়, ফরিদপুরের চরাঞ্চলে পবিত্র রমজান মাসের কথা চিন্তা করেই বাঙ্গি চাষ করা হয়। কিন্তু এ বছর আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে সময়মতো গাছ হয়নি, হয়নি ফলনও। সবই হয়েছে দেরীতে। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
প্রতি বছর এ বাঙ্গি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হলেও এ বছর লোকসান হতে পারে চাষিদের। গত বছর মৌসুমের শুরুতে মাঝারি সাইজের ১০০ বাঙ্গি বিক্রি হয়েছে ৫-৭ হাজার টাকা। যা এ বছর সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা দাম পাচ্ছেন চাষিরা। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
সরেজমিনে জানা যায়, জেলার কৃষ্ণপুর থেকে সদরপুর পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে বাঙ্গি জমা করে রেখেছেন চাষিরা। পরে পাইকাররা এসে রাস্তা থেকেই কিনে নিয়ে যান। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রমজান শেখ, মাকসুদ, নেছার, রোকসানাসহ চাষিরা জানান, তারা প্রতি বছরই বাঙ্গি চাষ করেন। তাদের টার্গেট থাকে রমজান মাসের শুরুতেই যেন তোলা যায়। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
কিন্তু এ বছর শীত ও কুয়াশার কারণে সময়মতো চাষ করা যায়নি। গাছও সময়মতো হয়নি। তাই এ বছর বাজারে উঠতে দেরী হয়েছে। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এ বছর ৮০২ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। যার মধ্যে ৫৩২ হেক্টরই লালমি জাতের। এ জাতের বাঙ্গি বেশি চাষ হয় সদরপুর উপজেলায়। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
এ বছর ছোট সাইজের লালমি প্রতি ১০০ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকা। মাঝারি সাইজেরটা বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৬০০ এবং বড় সাইজটি সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। ছবি: এন কে বি নয়ন