দিনাজপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে তুঁত ফল
দিনাজপুরে মুখরোচক খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুঁত ফল। পুষ্টিগুণসম্পন্ন এ ফল দিনাজপুরের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে। আবার অনেকে তুঁত ফল বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন।
-
জানা যায়, তুঁত বাগানে শিশু, নারী ও পুরুষ ফল সংগ্রহ করছেন। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
বাজারে দেখা যায়, বিভিন্ন ফলের দোকানে এই ফল বিক্রি হচ্ছে। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
সদর উপজেলার পাশেই মাহুত পাড়ায় বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড দিনাজপুর অঞ্চলের রেশম বীজাগারের অধীনে ১২০ বিঘা জমিতে তুঁত বাগান আছে। এ জমিতে রেশম পোকার খাবারের জন্য তুঁত গাছের পাতা উৎপাদন হয়ে থাকে। কোনো নির্দেশনা না থাকায় তুঁত ফল সংগ্রহ করা হয় না। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
তবে গাছে যে তুঁত ফল হয়, সেগুলো পাকলে পাখি খায়। স্থানীয় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও খায়। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
কর্মকর্তারা বলছেন, বোর্ড থেকে এই তুঁত ফল সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা এলে অবশ্যই আমরা তা পালন করবো। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ফল নেই খাদ্যশস্যের তালিকায়। শহরের সবচেয়ে বড় বাজার বাহাদুর বাজারে বিভিন্ন ফলের দোকানে এটি বিক্রি হতে দেখা যায়। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
তুঁত ফল সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা কেজি কিনে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
দিনাজপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী মেডিকেল অফিসার (ইউনানি) ডা. শাহিন আলম বলেন, ‘এই ফলের আছে নানা গুণ। বাত-ব্যথা, পিত্তনাশক, বলকারক, দৃষ্টি ও শ্রবণ বৃদ্ধিকারক হিসেবে এর ব্যবহার ব্যাপক। পাশাপাশি মুখ ও গলার ঘাঁ, অজীর্ণ, জ্বর ও কৃমিনাশক হিসেবে তুঁত ফল ব্যবহার হয়ে থাকে।’ ছবি: এমদাদুল হক মিলন
-
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে তুঁত গাছ মূলত রেশমের গুটি উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয়। দিনাজপুরেও একটি বাগান আছে। তুঁত ফল অনেকেই খেয়ে থাকেন। তবে এটি বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের তালিকায় নেই।’ ছবি: এমদাদুল হক মিলন