বরই চাষে সফল দুই বন্ধু
বলসুন্দরী, ভারতসুন্দরী এবং টক বরই চাষ করে সফল হয়েছেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের শংকরদী এলাকার দুই বন্ধু সফিকুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান। অদম্য ইচ্ছা ও মনোবল নিয়ে বাগান শুরু করে আজ তারা স্বাবলম্বী। দুই বন্ধুর এ সফলতায় অনেকেই বরই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
-
জানা যায়, প্রথমে নিজেদের ও অন্যের জমি লিজ নিয়ে ৫ বিঘা জমিতে বরই চাষ শুরু করেন তারা। তিন জাতের ৫০০ বরই চারা লাগিয়ে বাগান করেন। আর এসব চারা সংগ্রহ করেন যশোর থেকে। এতে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে বাগানের প্রতিটি গাছে প্রচুর বরই ধরে। প্রথম বছরই তারা লাভবান হন। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
এরপর তারা ১২ একর জমিতে বরই চাষ করেন। আপেলের মতো দেখতে লাল টুকটুকে বরই শোভা পাচ্ছে বাগানে। প্রচুর বরই ধরায় বাগানটি নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বাগানের গাছ থেকে বরই তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। ৪ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। তারা আশা করছেন, চলতি মৌসুমে ৬০০ মণ বরই বিক্রি করবেন। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
সফিকুল ইসলাম বলেন, দুই বন্ধু মিলে কিছু করবো, এমন চিন্তায় ১২ বিঘা জমির ওপর বরই বাগান গড়েছি। চাষাবাদে জৈব সার ও মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। যে কারণে ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। এখানে ২ জন শ্রমিক স্থায়ীভাবে এবং অস্থায়ীভাবে মজুরিতে আরও ৪-৫ জন কাজ করছেন। এ বছর বরই বিক্রি করে ৮-১০ লাখ টাকা লাভের আশা করছি। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
মেহেদী হাসান বলেন, আমি প্রবাসে ছিলাম। দেশে আসার আগেই বন্ধুর সঙ্গে বরই বাগান করার পরিকল্পনা করি। দেশে এসে বাগান করে সফলতা পেয়েছি। এমনকি আমাদের দেখাদেখি অনেকেই বরই বাগান শুরু করেছেন। আমাদের কাছে এলে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
-
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সন্তোষ চন্দ্র চন্দ বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বরই বাগানের উদ্যোক্তা দুই বন্ধুকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা উদ্যোক্তাদের মাঠ পর্যায়ে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি। ছবি: আয়শা সিদ্দিকা আকাশী