যে গ্রামের প্রতিটা বাড়িই মুরগির খামার
পাহাড়ের আঁকাবাঁকা সর্পিল রাস্তা পেরিয়ে একখণ্ড অজপাড়া গ্রাম। নাম স্বর্ণকারটিলা। পিছিয়ে পড়া এ গ্রামটি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত।
-
২০১২ সালে এ গ্রামে পোল্ট্রি খামার শুরু করেন মো. আজিজুল ইসলাম নামের এক বাসিন্দা। এরপর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে এ গ্রামের চিত্র। এক যুগের ব্যবধানে পোল্ট্রি খামারে ভাগ্য বদলে গেছে শতাধিক পরিবারের। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
অবহেলিত এই গ্রামের প্রত্যেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন বাড়ির আঙিনায় ছোট-বড় পোল্ট্রি মুরগির খামার করে। এ গ্রামের প্রতিটি বাড়ি মানেই এক একটি খামার। পোল্ট্রি খামারের আয়ে ছনের ঘরের বদলে গড়ে উঠছে পাকা বাড়ি। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
রাস্তার দু’ধারে বাড়ির আঙিনা বা পাহাড়ের পাদদেশে ছোট-বড় পোল্ট্রি খামার। ২ হাজার থেকে শুরু করে ৪ হাজার মুরগির শেড রয়েছে বিভিন্ন খামারে। এসব খামারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
১৩০ পরিবার নিয়ে গঠিত স্বর্ণকারটিলা গ্রামে ছোট-বড় ১৮০টি পোল্ট্রি খামার আছে। প্রতি মাসে গড়ে ৪ লাখ মুরগি উৎপাদন হয়। প্রতি মাসে ১ গ্রাম থেকে ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকার মুরগি বিক্রি হয়। পাহাড়ি গ্রামের এসব মুরগি খাগড়াছড়ি জেলার চাহিদা মিটিয়ে ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিক্রি করা হয়। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
তবে শত কোটি টাকার উপরে পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদন হলেও ভালো নেই খামারিরা। বিদ্যুৎ সংকট, অতিরিক্ত টোল আদায়, মুরগির বাচ্চা, খাদ্য ও ভ্যাকসিনের মূল্য বাড়ায় হতাশ খামারিরা। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
খামারিদের অভিযোগ, দেশ স্মার্ট যুগে প্রবেশ করলেও স্বর্ণকারটিলা এখনো অন্ধকারেই পড়ে আছে। বিদ্যুতের আলো পৌঁছেনি দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা এ গ্রামে। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
২০১৯ সালে বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হলেও অজানা কারণে সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে লাখ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব দেওয়া ওই এলাকার জনগণ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া