পদ্মার বালুচরে এখন সবুজের সমারোহ
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের শত শত হেক্টর জমি এক সময় ছিল বিশাল বালুচর। কিন্তু এখন পদ্মার চরজুড়ে সবুজের সমারোহ। বাণিজ্যিকভাবে এখানে চাষ হচ্ছে সবরি, সাগর, অমৃতসাগরসহ বিভিন্ন জাতের কলা।
-
কলা চাষি, দিনমজুর, ব্যবসায়ী, গাড়ির চালক-শ্রমিকসহ শত শত মানুষের কর্মচাঞ্চল্যে মুখরিত থাকে। কলা চাষে বদলে গেছে চরাঞ্চলের চিত্র। স্বপ্নের মতো তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে। ছবি: শেখ মহসীন
-
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার ১৮৪০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের পদ্মার চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে ১৮০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। ছবি: শেখ মহসীন
-
ইউনিয়নের কামালপুর, দাদাপুর, লক্ষ্মীকুন্ডা, কৈকুন্ডা, চরকুরুলিয়া, শান্তিনগর ও ডিগ্রীর চরজুড়ে কৃষকেরা অন্য ফসল না করে শুধু কলা চাষ করেছেন। ছবি: শেখ মহসীন
-
চরকুরুলিয়া গ্রামের কলা চাষি কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষাজীবন শেষে একটি বেসরকারি কলেজে কর্মরত ছিলাম। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় গ্রামে ফিরে আসি। ভেবেছিলাম ব্যবসা করবো। এসে দেখলাম কলা চাষ করে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। আমিও কলা চাষে আগ্রহী হলাম। কলা চাষ আমাদের মতো শত শত মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। ছবি: শেখ মহসীন
-
কামালপুর চরের আক্কাস আলী বলেন, ৬০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। কলা চাষে এ চরের কৃষকদের ভাগ্য বদলে গেছে। এখানকার অসংখ্য কৃষক এখন আর্থিকভাবে সচ্ছল। চরে এখন কলা ছাড়া অন্য ফসল নেই বললেই চলে। ছবি: শেখ মহসীন
-
ডিগ্রীচরের মোক্তার হোসেন ও মোতালেব হোসেন বলেন, একটি জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, সেটি হলো সারের দাম বৃদ্ধি। এছাড়া শিলাবৃষ্টি ও প্রবল ঝড় না হলে ফলন ভালো হয়। এখন কিছু গাছে ভাইরাস দেখা দিয়েছে। সেটিও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও কলা চাষে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। ছবি: শেখ মহসীন
-
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, পদ্মার চরাঞ্চলে কলার ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় প্রতি বছরই চাষ বাড়ছে। কলা চাষের জন্য কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। ছবি: শেখ মহসীন