রঙিন ফুলকপিতে কৃষকের মুখে হাসি
পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা নাগরী ইউনিয়নের বির্তুল গ্রামের কৃষক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. আলী হোসেন। তিনি প্রতি বছর সাদা ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রোকলি চাষ করলেও এবার হলুদ ও বেগুনি ফুলকপি চাষ করেছেন।
-
স্থানীয় বাজারেও সাড়া ফেলেছে তার রঙিন ফুলকপি। কিনছেন অনেকেই, বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে। তাকে দেখে আশপাশের কৃষকরাও এ ফুলকপি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ছবি: আব্দুর রহমান আরমান
-
আলী হোসেন বলেন, মাঠে আমার অনেক কৃষি জমি থাকলেও মাত্র ২ শতক জমিতে চাষ শুরু করি। কৃষি অফিস থেকে পাওয়া বীজ দিয়ে প্রায় ২০০ রঙিন ফুলকপির চারা লাগিয়েছিলাম। সবগুলোই ভালোভাবে বড় হয়েছে। ছবি: আব্দুর রহমান আরমান
-
এখন বাজারে ৬০ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি করি। সেগুলো আবার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা কেজিতে। চাষে খরচ মোটামুটি একই রকম। তবে জৈব সার দিতে হয় বেশি। সাদা ফুলকপির মত রঙিন ফুলকপিও আকারে বেশ বড় হয়। ছবি: আব্দুর রহমান আরমান
-
নাগরী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনির উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমাদের কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী এবারই প্রথম রঙিন ফুলকপির বীজ সংগ্রহ করে কৃষক আলী হোসেনকে দিয়েছি। পরীক্ষামূলক এ ফুলকপির ফলন দেখে কৃষক খুশি। আশপাশের কৃষকেরাও এ ফুলকপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ছবি: আব্দুর রহমান আরমান
-
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, এবারই প্রথম কালীগঞ্জে ১২৯ হেক্টর জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। স্থানীয় এক কৃষক রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করায় পরীক্ষামূলকভাবে তাকে সহায়তা করেছি। তবে রঙিন ফুলকপি চাষে বাড়তি কোনো খরচ নেই। সাদা ফুলকপির মতোই খরচ। ছবি: আব্দুর রহমান আরমান