সবুজের বুকে হলুদ হাসি
খাগড়াছড়ির রামগড়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে।
-
জানা গেছে, এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
রামগড় কৃষি অফিসের সহায়তায় নাকাপা, দাতারাম পাড়া, লাচারীপাড়া ও ফেনীরকুল চরসহ বিভিন্ন স্থানে ২০ জন কৃষক প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছেন। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
সূর্যমুখী চাষে খরচ কম লাভ বেশি। বিঘাপ্রতি ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ শেষে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। খরচের তুলনায় লাভ ও সময় কম লাগার কারণে আগামীতে অনেক কৃষক সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকবেন বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
রামগড় উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফ উল্যাহ বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে খরচ কম। এতে সার-ওষুধ কম লাগে, পরিচর্যাও করতে হয় না। এছাড়া সূর্যমুখী ফুলের কাণ্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার ও বিক্রি করা যায়। যা থেকে বাড়তি আয় হয়।’ ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
কৃষি কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরী বলেন, পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশে সূর্যমুখী চাষ করা গেলে আমদানি করা লাগবে না। বীজ বপনের ৯০-১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এর কাণ্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার ও খৈল গরু-মহিষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া
-
রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম ফয়সাল বলেন, রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল দশগুণ বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ। এটি মানবদেহের মহৌষধ হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ছবি: মুজিবুর রহমান ভুইয়া