গ্লাডিওলাসের আদি নিবাস আফ্রিকায়, শোভা ছড়াচ্ছে কুড়িগ্রামে
গ্লাডিওলাসের আদি নিবাস আফ্রিকায়। এর ইংরেজি নাম ‘গ্লাডিওলাস এসপিপি’। এ গাছের পাতা দেখতে ছুরির মতো। তাই একে ‘সোর্ড লিলি’ ও বলা হয়। মাঝখানের ডাটার আগায় বড় বড় ফুল, নানা রঙ ও গড়ন। প্রথম ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যথাসম্ভব গোঁড়ার দিকে ধারালো ছুরি দিয়ে ডাটা কাটতে হয়, পরে ফুলদানিতে একে একে সবগুলো ফুল ফোটে।
-
গাছটা আমাদের দেশেও অনেকের ছাদবাগানে শোভা পায়। চারা তৈরি করে কেউ কেউ বিক্রিও করেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের তালুক কালোয়া গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে গ্লাডিওলাস ফুল চাষ শুরু করেছেন কৃষক মো. নুরবখত আলী। ছবি: ফজলুল করিম ফরাজী
-
গ্লাডিওলাস ফুলের পাশাপাশি তার জমিতে গাঁদা ও সূর্যমুখী ফুল চাষ হচ্ছে। ৫০ শতক জমিতে গ্লাডিওলাস ফুল চাষ করে প্রায় লক্ষাধিক টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি। ছবি: ফজলুল করিম ফরাজী
-
রঙ ভেদে প্রতিটি গ্লাডিওলাস ফুলের স্টিক ৫-২৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন। বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রাম জেলা শহর ছাড়াও লালমনিরহাটে এই গ্লাডিওলাস ফুল বিক্রি করছেন তিনি। ছবি: ফজলুল করিম ফরাজী
-
ফুলচাষি মো. নুর বখত বলেন, গ্লাডিওলাস ফুল চাষ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার বাড়ি থেকে ২০১৮-১৯ সালে প্রদর্শনী প্লট করি। ওই প্রদর্শনী প্লটে ফুলের সমাহার দেখে পরের বছর ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ হই। ছবি: ফজলুল করিম ফরাজী
-
এখন প্রায় তিন একর জমিতে প্রচলিত কৃষি আবাদ না করে তেল বীজ ও ফুল জাতীয় গাছ চাষ করছি। কেননা ধান, পাট, আলু চাষের চেয়ে এ জাতীয় আবাদে খরচ কম লাভ বেশি। ছবি: ফজলুল করিম ফরাজী
-
কম সময়ের মধ্যে ক্ষেত থেকে গ্লাডিওলাস ফুল বাজারজাত করা সম্ভব। ছবি: ফজলুল করিম ফরাজী
-
গ্লাডিওলাস বীজ রোপণের ৭৫ দিনের মধ্যে ফুল সংগ্রহ করা যায়। গ্লাডিওলাস গাছে তেমন বালাই নেই। কেরাডে ও এন্টকল কিটনাশক ব্যবহার করে গ্লাডিওলাস ফুলের যত্ন নেওয়া হয়। ছবি: ফজলুল করিম ফরাজী