বাহারি ফুলকপিতে মজেছেন শরীয়তপুরের চাষিরা
বর্ণিল রঙের ফুলকপিগুলো দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, নামেও তাদের বাহার। পার্পেলটির নাম ‘ভ্যালেন্টিনা’ আর হলুদটির নাম ‘ক্যারোটিনা’। এ জাতের ফুলকপির বাজারে যেমন চাহিদা তেমন দামেও দ্বিগুণ। ভালো দাম পাওয়ায় ভ্যালেন্টিনা-ক্যারোটিনায় মজেছেন শরীয়তপুরের চাষিরা। বছর না ঘুরতে বাড়ছেও আবাদ।
-
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ১ হেক্টর জমিতে সাদা রঙের ফুলকপির পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপির চাষ করা হয়। রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতার মুখ দেখায় চলতি অর্থবছরে জাজিরা উপজেলার পাশাপাশি সদর উপজেলা মিলিয়ে দেড় হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে দুই জাতের ফুলকপির আবাদ করে স্থানীয় কৃষকরা। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
সাধারণ ফুলকপি রোপণ থেকে বিক্রির উপযুক্ত হতে তিনমাস লাগে, অন্যদিকে রঙিন ফুলকপি ১০ দিন আগেই বিক্রির উপযুক্ত হয়ে যায়। তাছাড়া আকারেও বড় হয়। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি হওয়ায় ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় জেলার অন্য চাষিদের মধ্যেও দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
জাজিরা উপজেলার চর খোড়াতলা এলাকার কৃষক মো. শাহিন আলম জানান, গত বছর ১০ শতাংশ জমিতে সাদা ফুলকপির পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে হলুদ আর পার্পেল দুই জাতের ফুলকপির আবাদ করেছিলেন। এতে তার খরচ হয়েছিল ৬ হাজার টাকা। আর বিক্রি করেছিলেন ৪০ হাজার টাকা। গতবছর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর তিনি বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ জমিতে রঙিন ফুলকপির আবাদ করেছেন। ছবি: বিধান মজুমদার অনি