শরীয়তপুরের ‘জোড় মাছের মেলা’
ভোর হতেই খোলা মাঠে চৌকি পেতে ডালায় ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসেন মাছ বিক্রেতারা। তার পাশেই বসে সবজি, খেলনা আর নানা খাবারের দোকান। কনকনে শীত উপেক্ষা করে ক্রেতা বিক্রেতার হাঁক-ডাকে জমে ওঠে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। এদিন মেলায় আসা সবাই ঘরে ফেরেন জোড়া ইলিশ আর বেগুন নিয়ে।
-
শরীয়তপুরের মনোহর বাজার ও তার আশপাশের এলাকার শতবছরের ঐতিহ্য এটি। প্রতি বছরের মাঘ মাসের প্রথম দিনে মনোহর বাজার কালিমন্দির ও গরুর মাঠে বসে এই ঐতিহ্যবাহী জোড় মাছের মেলা। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
মেলাটি কতো বছর আগে থেকে প্রচলন শুরু হয়েছে জানেন না কেউ। তবে ধারণা করা হয় অন্তত ২০০ বছরের পুরনো এ মেলা। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
প্রথম প্রথম মেলায় শুধু ইলিশ মাছ বিক্রি হলেও ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছও মেলায় বিক্রি শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন খাবারের দোকান ও খেলনার দোকান যুক্ত হয় মেলায়।
-
পুরো বছরজুড়ে এ দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন এখানকার স্থানীয় হিন্দুধর্মের মানুষের পাশাপাশি মুসলিমরাও। মেলাটি ঘিরে আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষের সমাগম ঘটে। মেলা উপলক্ষে এখানকার স্থানীয়রা তাদের আত্মীয়দের বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানান। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
এ মেলাকে ঘিরে বড়দের চাইতে ছোটদের আগ্রহ থাকে আরও বেশি। বড়দের সঙ্গে মেলায় গিয়ে মিষ্টির পাশাপাশি কিনে আনে রঙ-বেরঙের বেলুন আর খেলনা। খেলনা হাতে বাঁশিতে ফুঁকতে ফুঁকতে খুশিমনে বাড়ি ফেরে তারা। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
প্রধান সড়কের পাশে কালিমন্দিরের সামনে শতাধিক মাছ বিক্রেতারা টিনের ডালায় বিভিন্ন ধরনের মাছ সাজিয়ে বসেছেন। মাছের মধ্যে রয়েছে ইলিশ, রুই, কাতল, বোয়াল, আইড় ও কার্প। ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
এছাড়াও মেলায় মাছের পাশাপাশি সবজি, মিষ্টি, খেলনা নিয়ে বসেছেন অন্যান্য দোকানীরা। ক্রেতারা আসছেন দামদর করে মাছ কিনে বাড়ি ফিরছেন। ছোট শিশুরাও খেলনার দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। ছবি: বিধান মজুমদার অনি